জুম-বাংলা ডেস্ক : ভাষা শেখার সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ ‘ডুওলিঙ্গো’। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা খুব সহজে শেখা যায় এই অ্যাপে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজভাবে শেখার মাধ্যম আছে এতে। আর তাই প্রতিদিন গড়ে ৩৪ মিলিয়ন মানুষ ডুওলিঙ্গো ব্যবহার করছে।
এ ছাড়া ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ নিয়মিত এই অ্যাপে ভাষা শেখে। বর্তমানে অ্যাপটিতে ৪১টি ভাষা শেখা যায়। ব্যবহারকারীরা এসব ভাষায় কথা বলা, পড়া, শোনা—তিনটি বিষয়েই দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। জনপ্রিয় এই অ্যাপটির কম্পানির ২০২৩ সালে আয় ছিল ৫৩১ মিলিয়ন ডলার। আর এটাই তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। ডুওলিঙ্গো অ্যাপ জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আছে তাদের কম্পানির কিছু কৌশল। সম্প্রতি ডুওলিঙ্গোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী লুইস ভন আহন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি বড় হয়েছিলেন গুয়াতেমালায়।
গণিত নিয়ে স্নাতক করলেও কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পিএইচডি করেন লুইস। ২০০০ সালের দিকে যখন তিনি পড়াশোনা করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিতে, তখন ইয়াহু ছিল সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট কম্পানি। ইয়াহুতে বিনা মূল্যে মেইল লেখা যাচ্ছে, মেইল পাঠানো যাচ্ছে। লুইস তখন খেয়াল করেন, কিন্তু কিছু মানুষ অনিয়মতান্ত্রিক হাজার হাজার মেইল খুলছিল স্প্যাম মেইল পাঠানোর জন্য। তখন তিনি তাঁর পিএইচডি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে মিলে তৈরি করেন ক্যাপচা, যা বর্তমানে আমরা ‘আই অ্যাম নট আ রোবট ভেরিফিকেশন’ নামে চিনি।
বিখ্যাত ক্যাপচা প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা লুইস ভন আহন তখন থেকেই কোটিপতি ছিলেন। পরে ২০১১ সালে ভাষা শিক্ষাকে সবার জন্য বিনা মূল্যে এবং উন্মুক্ত করার জন্য স্নাতক ছাত্র সেভেরিন হ্যাকারের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ডুওলিঙ্গো। তারপর ডুওলিঙ্গোও সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর অ্যাপটি সবার কাছে জনপ্রিয় করার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রাখে এটির বিনা মূল্যের সংস্করণ। যদিও ডুওলিঙ্গোর ফ্রি ও প্রিমিয়াম—দুটি সংস্করণ আছে। কিছু বিনা মূল্যে ভাষা শেখার সব সুবিধা পাওয়া যাবে, যা ডুয়োলিঙ্গোকে ভাষা শেখার অন্যান্য মাধ্যম থেকে এগিয়ে রেখেছে।
কোনো কিছু শেখার সময় অনুপ্রেরণা সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিনিয়ত এই কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে ডুওলিঙ্গো। ভাষা শেখাকে মজাদার করতে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে তারা। আবার খেলার ছলে শেখা কোনো কিছু শেখার জন্য গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তারা ভাষা শেখাকে একটি গেমে রূপান্তর করেছে। প্রতিনিয়ত গেমে উন্নতি করার অনুপ্রেরণা থেকে ভাষা শেখার প্রতি মানুষের মনোযোগ ধরে রাখে। তা ছাড়া ভাষা শেখার প্রতিটি ধাপে গল্পের ছলে ভাষা শেখায় ডুওলিঙ্গো।
শখের বশে ভাষা শিখতে চায় এমন অনেকে আছে। লুইস ভন জানান, মার্কিন ডুওলিঙ্গো ব্যবহারকারীরা এর আগে ক্যান্ডি ক্রাশ বা ইনস্টাগ্রামে আসক্ত ছিল। এখন শখের বশে স্প্যানিশ কিংবা অন্যান্য ভাষা শিখছে। খেলাচ্ছলে স্মার্টফোনে সময় কাটাতে ভাষা শেখার মতো প্রডাক্টিভ কাজে সময় ব্যয় করা উত্তম। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ‘ভাইরাল’ জিনিসের প্রতি মানুষ উপচে পড়ে। তাই এই কৌশল কাজে লাগিয়ে ভাষা শেখায় ভাইরাল কিছু বাক্য যুক্ত করেছে ডুওলিঙ্গো। তা ছাড়া অ্যাপটির প্রচারেও তা কাজ করেছে।
ডুওলিঙ্গোর সফলতার অন্যতম কারণ তাদের কর্মীদের দলগত বন্ধন। কম্পানিটি শুরুর হয়েছিল মাত্র ৫০ জন কর্মী নিয়ে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ডুওলিঙ্গোর আছে ৮৫০ জন কর্মী। তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির। তাই ভাষা শেখার ক্ষেত্রে ভুল হলে তা সহজে ধরতে পারেন তাঁরা। লুইসের মতে, কর্মীদের ভালো মিথস্ক্রিয়ার জন্য বিশ্বাস দৃঢ় করা দরকার। তাঁর মতে, কোনো কর্মীকে তাঁর পক্ষে বরখাস্ত করা খুব কঠিন। কর্মীদের বিশ্বাস ও কাজের কৌশলের কারণেই ডুওলিঙ্গো প্রতিনিয়ত আরো জনপ্রিয় হ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।