আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত মাসেই জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়, ইসরায়েল ও সৌদির মধ্যে ঐতিহাসিক রুপরেখার মাধ্যমের সম্পর্ক স্থাপন হতে যাচ্ছে।
এরইমধ্যে গত শনিবার থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়। টানা সাত দিন ধরে চলছে এ সংঘর্ষ। ইতিমধ্যে উভয়পক্ষে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছে, এখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় অসম্ভব। তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক মুরাত আসলান বলছেন, আরব জনমত ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া যত নিষ্ঠুর হবে, জনমনে তত ক্ষোভ তৈরি হবে। ফলে এর মধ্যে সৌদি আরবের পক্ষে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগী এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস এর সিনিয়র ফেলো অ্যারন ডেভিড মিলারও বলছেন একই কথা। তিনি বলেছেন, দেখুন, হামাস এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে যেখানে ইসরায়েল-সৌদ শান্তিচুক্তি এখন প্রায় অসম্ভব।
ডেভিড মিলার বলেন, মার্কিন মধ্যস্থতায় যে ইসরায়েল-সৌদি শান্তি আলোচনার উদ্যোগ ছিল, সেখানে ইসরায়েল কিংবা মোহাম্মদ বিন সালমান কেউই ফিলিস্তিনিদের দাবিকে সামনে আনেনি। এখন সেই চুক্তি অসম্ভব।
সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ‘ন্যায্য অধিকার’ এবং ফিলিস্তিনে ‘স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ ফিলিস্তিনি জনগনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টেন ফন্টেনরোজ অবশ্য বলছেন, সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা এখনো আছে।
তার মতে, ইসরায়েলকে এখন সতর্ক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তাদের সামরিক জবাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে মৃত্যু না ঘটে। সেটা হলে সৌদি আরবের পক্ষে এই হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে চুক্তি করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।