জুমবাংলা ডেস্ক : প্রস্তাবিত বাজেটে রড উৎপাদন পর্যায়ে ২০০ টাকা ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাবে পণ্যটির দাম বাড়ার শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এর সঙ্গে ডলার সংকট, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্ক্র্যাপ ও কাঁচামাল আমদানি খরচ বৃদ্ধিও চোখ রাঙাচ্ছে রডের বাজারে।
কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেডের সিনিয়র জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রডের দাম কমার তেমন কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। রডের উৎপাদন পর্যায়ে ২০০ টাকা ভ্যাট বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ১ হাজার ৫০০ টাকা ও অগ্রীম আয়কর (এআইটি) ৫০০ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি বলেন, কাঁচামাল আমদানিতে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোতে এলসি ওপেনে বেগ পেতে হচ্ছে। ডলার বাজার স্থিতিশীল না হলে রডের মূল্যে প্রভাব পড়বে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতি টন ফেরাস স্ক্র্যাপ, কাঁচামাল, কেমিক্যালস আমদানি খরচ ১০-১১ হাজার টাকা বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ার সরাসরি প্রভাব পড়ছে উৎপাদন খরচে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় কাঁচামাল আমদানিতে জাহাজ ভাড়া বেড়েছে।
শীর্ষ রড প্রস্তুতকারক বিএসআরএমের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন সেনগুপ্ত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রডের ভ্যাট ব্যবসায়ী (খুচরা) পর্যায়ে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এমএস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট প্রতি টনে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদনকারীরা বিক্রয় পর্যায়ে টনপ্রতি যে ২ হাজার টাকা ভ্যাট দিত তা বাড়িয়ে ২ হাজার ২০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত হলে বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, সহজলভ্যতা হ্রাস, আমদানি খরচ বৃদ্ধি সর্বোপরি রডের দাম অদূর ভবিষ্যতে কমানো কঠিন হয়ে পড়বে। রয়েছে মূল্যস্ফীতির বড় চ্যালেঞ্জও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।