দেশের মাটিতে সম্ভবত শেষ বার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলে ফেললেন লিয়োনেল মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে জলে ভিজল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়কের চোখও। সেই আবেগের ছাপ অবশ্য মাঠের পারফরম্যান্সে পড়েনি। জোড়া গোল করলেন। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে তাঁর দল জিতল ৩-০ ব্যবধানে। সব শেষে লিয়ো জানালেন, বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা জানেন না।
দেশের মাটিতে মেসি যুগ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত আগেই ছিল। আর্জেন্টিনার মাটিতে শেষ বার প্রিয় অধিনায়কের খেলা দেখতে গ্যালারি ভরিয়ে ছিলেন ভক্তেরা। ছিল লিয়োর সন্তানেরাও। ভর্তি গ্যালারির সামনে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মেসি।
খেলা শুরুর আগে তাঁর চোখের কোণ চিক্চিক্ করছিল। মুখে স্পষ্ট ছিল বিষণ্ণতার ছাপ। শেষ হওয়ার পর নিজেই উস্কে দিলেন অবসরের জল্পনা। জানিয়ে দিলেন, তাঁর আগামী বিশ্বকাপে খেলা এখনও নিশ্চিত নয়।
এলএম টেন আগেই জানিয়েছিলেন, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচটা তাঁর কাছে আলাদা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যেই লুকিয়েছিল ইঙ্গিত।
গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। তবু নিয়মরক্ষার ভেনেজুয়েলা ম্যাচকে মেসির বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল অবসরের বার্তা।
খেলায় অবশ্য আবেগের কোনও ছাপ পড়তে দেননি মেসি। স্বভাবসুলভ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ম্যাচের প্রথম গোলটিও এসেছে তাঁর পা থেকেই।
৩৯ মিনিটে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় ভেনেজুয়েলার জালে বল জড়িয়ে দেন। মেসি গোল করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শকেরা। ম্যাচের দ্বিতীয় গোল ৭৬ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেসের। এর ৪ মিনিট পর ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল। এ বারও সেই মেসি। দলের জয় নিশ্চিত করলেন নিজের দ্বিতীয় গোলে।
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে জয়। মেসির জোড়া গোল। গোটা স্টেডিয়াম যখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে, তখনই অবসরের জল্পনা আবার উস্কে দিলেন লিয়ো। খেলা শেষ হওয়ার পর বললেন, ‘‘বয়সের কথা মাথায় রাখলে, যুক্তি মানলে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে পারব না।
তবে বিশ্বকাপ কাছেই এসে গিয়েছে। আমিও খেলতে আগ্রহী। এখন প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাইছি। মাঠে নেমে যদি ফুটবল উপভোগ করতে না পারি, তা হলে নিজেই সরে যাব।’’
সরে যাবেন মানে তো অবসর! বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার কোনও সূচি নেই। ফলে নিজের দেশে আকাশি নীল-সাদা স্ট্রাইপ জার্সি গায়ে আর খেলার সুযোগ নেই মেসির।
তাঁর কথা থেকেই পরিষ্কার, বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত। খেললেও তার পর হয়তো আর টানবেন না আন্তর্জাতিক ফুটবলজীবন। আর্জেন্টিনার ফুটবল কর্তারা মেসির জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করলে আলাদা কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।