জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লটকনের বড় বাগান তৈরি করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন এক কৃষক। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই লটকন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগও আধুনিক পদ্ধতিতে এই ফল চাষাবাদে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা বিজয়নগর ফলের স্বর্গরাজ্য নামে পরিচিত। সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। বিজয়নগরের মাটি ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
সেই বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী গ্রামের চাষি নান্নু মিয়া ২০১৬ সালে ৪৫ শতক জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন লটকন চাষ। এর চার বছর পর ফল আসা শুরু করে।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে ১০০ চারা সংগ্রহ করে লটকনের বাগান তৈরি করেছিলেন। এখন বাগান থেকে লটকন পাওয়া যায় ৪০ থেকে ৫০ মণ।
নান্নু মিয়া আরও বলেন, লটকন চাষ খুব সহজ। লটকনের চারা লাগানোর সময় জায়গা বাছাই করতে হয় নিয়ম মেনে। পানি আটকায় না ও ছায়াযুক্ত এলাকা লটকনের জন্য উপযুক্ত।
তার এমন সফলতা দেখে অনেকেই লটকন চাষে ঝুঁকছেন। কয়েকজন চাষি জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ১০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
আর কৃষি কর্মকর্তা জানান, জেলায় লটকন চাষ বাড়াতে তাদের পক্ষ থেকে চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবার জেলায় প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার লটকন উৎপাদন হবে।
এবার প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই লকটন বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি লটকন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল হোসেন বলেন, বিজয়নগর হচ্ছে ফলের স্বর্গরাজ্য। বিজয়নগরে নানা জাতের ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করি। বিজয়নগরে প্রতি বছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করা হয়।
জেলায় এ বছর প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল, পাহাড়পুর ও বিষ্ণুপুরে বারী লটকন -১ ও বারী লটকন-২ চাষ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।