বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেরই একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। কেননা দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা মোবাইলে চোখ রেখে এবং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলি ঘাটতে ঘাটতেই কাটিয়ে দিই। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা কোনো খবর বা বিষয়ের সত্যতা বিচার না করেই তা বিশ্বাস করে নেওয়ার প্রবণতা আমাদের অনেকের মধ্যেই বিদ্যমান আছে। কিন্তু, একটি খবর সত্যি নাকি মিথ্যে জানার প্রয়োজন বোধ না করেই, তা শেয়ার করার অভ্যাস যথেষ্ট মুশকিলে ফেলতে পারে আমাদের। কেননা আমাদের দ্বারা শেয়ার করা আপত্তিকর কনটেন্ট অন্যান্য ব্যক্তির জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। আর এমনটা করার অপরাধে ভারী খেসারতও দিতে হতে পারে। আজ্ঞে হ্যাঁ! জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এখন ভুল খবর প্রচারকারি বা সন্দেহজনক কার্যকলাপে নিযুক্ত ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করেছে।
শর্তাবলী লঙ্ঘন করলেই ব্যান করা হবে অ্যাকাউন্ট, জানালো WhatsApp
রিপোর্ট অনুসারে, মেটা অধীনস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গত এপ্রিল মাসে প্রায় ১৬ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান বা নিষিদ্ধ করেছিল। এরূপ নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছিল যে, সাসপেন্ড করা অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১২২টি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ১৬.৬৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট স্বপ্রণোদিত অর্থাৎ সংস্থার ইচ্ছায় বন্ধ করা হয়েছিল। ক্ষতিকারক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর জন্যই মূলত এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে৷ আর একবার যদি অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হয়, সেই ব্যবহারকারী আর কোনদিন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সংস্থার শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে এমন যেকোনো ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অধিকার হোয়াটসঅ্যাপ রাখে। মেসেজিং অ্যাপটি সেইসকল ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে যাচ্ছে, যারা প্রতিনিয়ত স্ক্যাম, স্প্যাম বা ক্ষতিকারক ডেটা তথা কনটেন্ট শেয়ার করছেন। এক্ষেত্রে কোনো অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হলে, ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপে ‘এই অ্যাকাউন্টটির হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার অনুমতি নেই’ (This Account is not allowed to use Whatsapp) লেখা একটি নোটিফিকেশন আসবে।
তবে, কোনো ব্যবহারকারী যদি মনে করেন ভুলবশত তার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে, তাহলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে সেই সম্পর্কে রিপোর্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, সাসপেন্ড নোটিফিকেশন ওপেন করার পর আপনি ‘সাপোর্ট’ (Support) লেখা একটি বিকল্প দেখতে পাবেন। এই বিকল্পে ক্লিক করে, আপনি অ্যাকাউন্ট ব্যান করা কেন ভুল হয়েছে তার ব্যাখ্যা লেখার একটি টেক্সট বক্স এবং ফাইল পাঠানোর অপশন পেয়ে যাবেন। এখানে আপনাকে আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল আইডিও এন্টার করতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর, আপনার অ্যাকাউন্টটি যদি ন্যায্য প্রমাণিত হয় তবে পুনরায় রি-ওপেন করে দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।