বাসে হাতল ধরেছেন, লিফটের বোতাম চাপছেন, শপিং মলে ঘুরছেন পাবলিক জায়গায় আমরা প্রতিদিনই অসংখ্য অদৃশ্য জীবাণুর সংস্পর্শে আসছি। সব জায়গা এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়, কিন্তু কিছু সচেতন অভ্যাস আমাদের অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাবলিক প্লেসে কীভাবে নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।

হাত পরিষ্কার রাখা
হাতই জীবাণু ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। তাই হাত পরিষ্কার রাখা মানেই নিজেকে অনেকটা নিরাপদ রাখা। গণপরিবহণ ব্যবহার করার পর, পাবলিক টয়লেট থেকে বেরিয়ে বা রেলিং, দরজার হাতল, লিফটের বোতাম স্পর্শ করার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি। পানি বা সাবান না পেলে অন্তত ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। অজান্তেই আমরা চোখ, নাক বা মুখে হাত দিই। অপরিষ্কার হাতে এটি করলে জীবাণু সরাসরি শরীরে ঢুকে পড়ে।
কাশি-হাঁচির সময় দায়িত্বশীল আচরণ
আপনি সুস্থ থাকলেও আপনার পাশের মানুষটি হয়তো নন এটা মাথায় রাখাই ভদ্রতা। কাশি বা হাঁচির সময় টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করুন। কখনোই খোলা হাতে কাশি বা হাঁচি দেবেন না।
পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা
পাবলিক টয়লেট জীবাণুর জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোর একটি। কল বন্ধ করা বা দরজা খোলার সময় টিস্যু বা কাগজ ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে কনুই বা কাঁধ দিয়ে দরজা ঠেলুন। ঢাকনা থাকলে ফ্লাশ দেওয়ার আগে ঢাকনা বন্ধ করুন। না থাকলে একটু দূরে দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে ফ্লাশ চাপুন।
খাবার ও ব্যক্তিগত জিনিস ভাগাভাগিতে সতর্কতা
জনসমাগমের স্থানে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস অন্য কাউকে ব্যবহার না করতে দেয়াই ভালো। যেমন পানির বোতল, ফোন এসব একে অন্যের সঙ্গে ব্যবহার না করাই নিরাপদ। নিজেও অন্যদের থেকে এসব নেয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও বাইরে খাবার খাওয়ার সময় সচেতন থাকুন।
বিভিন্ন সময় আমাদের পাপলিক প্লেসে জেতে হয়। আবার এমনও হয় যে ভিড়ের মধ্যে থাকতে হয় যেমন কনসার্ট বা জনসমাগমে গেলেও পরিষ্কার থাকা জরুরি, নয়তো বিভিন্ন রোগে ভুগতে হতে পারে। একটি সচেতন থাকলেই জনসমাগমে অংশ নিয়েও সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। এ কারণে ছোট ছোট অভ্যাস যেমন হাত ধোয়া, কাশি ঢেকে দেয়া, জিনিসপত্র সাবধানে রাখা এই বিষয়গুলোয় সচেতন হতে হবে। এমনকি ঘরে ফিরেই বাইরের পোশাক পরিবর্তন করে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: ওয়াটার এড, হেলথিয়ান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



