আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টো বাজারে চলছে অস্থিরতা। এরইমধ্যে বিশ্বের একাধিক দেশে বিপাকে পড়েছেন এ মুদ্রা ব্যবহারকারীরা। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময় কোম্পানি জেনেসিস গ্লোবাল ক্যাপিটালসহ আরও দুটি সংশ্লিষ্ট ক্রিপ্টো কোম্পানি দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য নিউয়ার্কের একটি আদালতে আবেদন করেছে। নেতৃস্থানীয় মার্কিন ক্রিপ্টো কোম্পানি ‘এফটিএক্স’ দেউলিয়া হওয়ার পর একই সংকটে পড়েছে এ কোম্পানি দুটি।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে জেনেসিস গ্লোবাল হোল্ডকো এবং ঋণদান ইউনিট জেনেসিস এশিয়া প্যাসিফিক দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য এ আবেদন জানায়। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানায়, জেনেসিস তার সমস্ত ক্লায়েন্ট এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য মূল্য সর্বাধিক করার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতের জন্য ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করতে এ কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত নভেম্বরে ক্রিপ্টো কোম্পানি ‘এফটিএক্স’ দেউলিয়া হওয়ার কারণে ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজারে নিম্ন তারল্যসহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই খাতের অন্যান্য অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে দায়ি করেন এ কোম্পানির কর্মকর্তারা।
আদালতের নথিতে দেখা যায়, জেনেসিস গ্লোবাল ক্যাপিটালের ঋণের পরিমাণ আনুমানিক একশ’ থেকে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে এবং ঋণদাতার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি।
এদিকে, ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময় কোম্পানি ‘ব্লকফাই’ও গত নভেম্বরে দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিল।
আবার, চলতি মাসে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কথা উল্লেখ করে নেতৃস্থানীয় ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময় কোম্পানি ‘কয়েনবেইস’ও জাপানে তাদের ব্যবসা স্থগিত করেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বাইনারি উপাত্তের একটি সংকলন যা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এ ডিজিটাল মুদ্রার অস্তিত্ব শুধুমাত্র ইন্টারনেট জগতেই বিদ্যমান। এটি ব্যবহার করে শুধু অনলাইনেই লেনদেন করা যায়। ২০১৭ সাল থেকে শেয়ার বাজারের মতো এটিও একটি উঠতি বাজারে পরিণত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।