চাঁদপুর মাছঘাটে এখনও আশানুরূপ বাড়েনি ইলিশের সরবরাহ। মাছঘাটে ছোট ইলিশ মাছের ছড়াছড়ি। আর এসব ইলিশ অধিকাংশই আসছে চট্টগ্রাম থেকে। তবে, মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছে শুধু চট্টগ্রাম নয়, নোয়াখালী ও হাতিয়া থেকেও এসব ছোট মাছ চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসছে।
চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাটে শুক্রবার ছোট বড় মিলেয়ে তিনশ মণের মতো ইলিশ মাছ এসেছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। অথচ, এখন চলছে ভরা মৌসুম। প্রচণ্ড চাহিদা থাকলেও দাম তেমন না কমায় অনেকটা হতাশা নিয়ে ফিরছে বাড়িতে ক্রেতারা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ভরা মৌসুম চললেও ইলিশের সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত নয়। মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছে, ভরা মৌসুম হিসাবে যে পরিমাণ মাছ আসার কথা, তা আসছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই দাম কিছুটা চড়া।
মাছ ঘাটে পর্যাপ্ত মাছ না আসলেও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর চাঁদপুর মাছঘাট। বেড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মব্যস্ততা। তবে, ঘাটে আসা বেশিরভাগ ইলিশই ছোট আকারের। তাই বড় ইলিশের চেয়ে ছোটগুলোর দাম অনেকটাই কম।
ক্রেতারা বলছে, এসব ছোট সাইজের ইলিশের দাম আরও কম হওয়া উচিত। ইলিশের দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বর্তমানে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা। ১২০০ গ্রাম থেকে ১৫০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকায়। তবে, এই দামও ক্রেতাদের কাছে অনেক বেশি।
মৎস্য গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, নদী উপকূলীয় সাগরে বর্তমান সময়ে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। ইলিশ নাই, এটি বলা যাবে না। জলবায়ু আবহাওয়াগত নানাবিধ কারণে বর্তমান সময়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না কিংবা তাদের জালে খুব কম ইলিশ আসছে। এর অর্থ এই নয় যে, অঞ্চল জুড়ে ইলিশ নাই।
বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা, যেসব অঞ্চলে হতে পারে ভারী বর্ষণ
বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে পানি প্রবাহ বেড়ে গেলে ইলিশ অভিপ্রাণ করে আপাঞ্চলে আসতে থাকবে এবং ইলিশের প্রাপ্যতা বেড়ে যাবে। জেলেদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নাই। বর্তমান সময়ে এটি একটি চ্যালেঞ্জ। চর, ডুবোচর, দূষণ, দখল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এটি মোকাবেলা করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।