জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদেশের মতো রাজধানী ঢাকায়ও চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তবে জাতীয় নির্বাচনী ব্যস্ততার দিনে সকাল থেকেই গণপরিবহনশূন্য রাজধানীর সড়কগুলো। এতে জরুরি প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, কাকরাইল, মগবাজার, বাংলামোটর ও শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে চোখে পড়েনি গণপরিবহন। গণপরিবহন না থাকায় হাঁটা বা রিক্সাতেই আস্থা রাখছেন সবার।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে ডিএমপি। ট্যাক্সি ক্যাব, পিক-আপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে এই বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে কোন কোন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে, তা-ও জানানো হয়েছিল।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।