আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নির্বাচন পদ্ধতি অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটি আসলে একটি একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা। এখানে নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য জনগণের মতামত নেওয়া নয়, বরং ক্ষমতাসীন দল ও নেতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। নির্বাচন সাধারণত একটি প্রতীকী প্রক্রিয়া যেখানে কিম জং উন এবং তার পরিবারের প্রতি জনগণের আনুগত্য প্রদর্শন করা হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে কিমের নেতৃত্বকে আরো বৈধতা দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিটি নির্বাচনী আসনে শুধুমাত্র এক প্রার্থী দাঁড়ানোর অনুমতি পান। সাধারণত এই প্রার্থীটি ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (WPK)-এর সমর্থনপ্রাপ্ত। ফলে ভোটারদের সামনে কোনো বিকল্প থাকে না।
নির্বাচনে ভোটদান বাধ্যতামূলক, এবং এটি একটি জাতীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত। ভোটাররা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কিম পরিবারের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে ভোট দেন।
ভোটারদের একটি ব্যালট পেপারে শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ চিহ্ন দেওয়ার সুযোগ থাকে। ‘না’ ভোট দেওয়ার অর্থ ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ ‘না’ ভোট দিলে তা রাষ্ট্রের নজরে পড়ে এবং ফলাফল হতে পারে কারাবাস বা নির্যাতন।
সরকারি তথ্যমতে, প্রতিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার প্রায় ৯৯%-১০০%। যদিও এটি বাস্তবসম্মত নয়, কিন্তু এটি ক্ষমতাসীন সরকারের জনপ্রিয়তা প্রদর্শনের একটি প্রচেষ্টা। ভোটের দিন কেউ মরে না, কারও অসুখ হয় না, ভোট পড়ে ১০০ শতাংশ!
উত্তর কোরিয়ার নির্বাচন জনগণের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এটি কিম পরিবারের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি হাতিয়ার।দেশের জনগণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা,ক্ষমতাসীন কিম পরিবারের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বার্তা দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।