পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ২৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি গ্রাম ডুবে গেছে। ২৬ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় অন্তত ৮৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১১ শ জনেরও বেশি।
এমন পরিস্থিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বন্যার পানিকে ‘আশীর্বাদ’ আখ্যা দিয়ে বির্তকের জন্ম দিয়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বন্যার পানিকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে দেখতে হবে। এমনকি বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যারা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা এই পানি ঘরে নিয়ে আসুন। ঘরের টব কিংবা বড় বড় পাত্রে জমিয়ে রাখুন। আমরা পানি ড্রেনে ফেলে দিচ্ছি, অথচ আমাদের এটি সংরক্ষণ করা উচিত।’
খাজা আসিফ আরও প্রস্তাব দিয়েছেন—পাকিস্তানকে দীর্ঘ ১০–১৫ বছর অপেক্ষা করে বড় বাঁধ নির্মাণের বদলে দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে এমন ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে।
এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি জানিয়েছেন, বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কয়েক মিলিয়নে পৌঁছেছে। সতর্ক করা হয়েছে, চেনাব নদীর পানি মঙ্গলবারের মধ্যে মুলতান জেলায় পৌঁছাতে পারে এবং রাভি নদীর পানির সঙ্গে মিশে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া পঞ্জনদ নদীর পানির স্তর ৫ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বন্যায় আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় এবং পাকা ধান-গমসহ বিভিন্ন ফসল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে খাদ্যসংকট ও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।