জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ফুটবল দল গড়ে জাপানে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হলো পাকিস্তানের একদল অভিবাসনপ্রত্যাশীর। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে তাদের সব ভুয়া কাগজপত্র। শেষ পর্যন্ত জাপান কর্তৃপক্ষ তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছে।
পাকিস্তানের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) জানিয়েছে, মানবপাচারের উদ্দেশ্যে ফুটবলকে ব্যবহার করেছিল এই চক্র। ঘটনায় চক্রের মূল হোতা মালিক ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফআইএ’র তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের শিয়ালকোট বিমানবন্দর থেকে ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ নামের ভুয়া ক্লাবের ব্যানারে ২২ জন জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।
তারা জাপানের একটি ক্লাবের নামে জাল আমন্ত্রণপত্র বানিয়ে ১৫ দিনের ভিসা নেয়। এছাড়া পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের অনুমতিপত্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশও ভুয়া করে তৈরি করা হয়েছিল।
যদিও তারা পাকিস্তান থেকে নির্বিঘ্নে উড়াল দেয়, কিন্তু জাপানের বিমানবন্দরে কাগজপত্র যাচাইয়ে ধরা পড়ে পুরো প্রতারণা। পরে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এফআইএ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে মালিক ওয়াকাস স্বীকার করেছেন যে, এর আগেও একই কায়দায় ১৭ জনকে জাপানে পাঠিয়েছেন। প্রতিজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ পাকিস্তানি রুপি নেয়া হতো। এমনকি তাদের পেশাদার ফুটবলার হিসেবে প্রস্তুত করত চক্রটি। মানবপাচারে খেলাধুলাকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করার এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।