জুমবাংলা ডেস্ক : রিকশার প্যাসেঞ্জার হয়ে যাচ্ছিলেন সাভার হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য। উদ্দেশ্য ছিল থানায় নিয়ে রিকশাওয়ালাকে জরিমানা করার। পথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিকশাচালককে মারধর করেন সেই পুলিশ সদস্য।
ঘটনার এক পর্যায়ে ভুয়া সন্দেহে সেই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন ওই রিকশাচালকসহ আরও কয়েকজন। পরে সেই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং সেই রিকশাচালককেও আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল মোহাম্মদিয়া সুপার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুয়া সন্দেহে মারধরের শিকার পুলিশ সদস্যোর নাম মো. সোহেল রানা। তিনি সাভার হাইওয়ে থানায় কনেস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
আটক রিকশাচালকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা থানার গিংরাই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি সাভারে ওলাইলের থাকেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে একটি রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন কনেস্টেবল সোহেল। এসময় সেখানে রিকশাচালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে সোহেল। পরে আশপাশের রিকশাচালকরা সোহেলকে ধাওয়া দিলে তিনি সড়কের পশ্চিম পাশে গিয়ে একটি হোটেল আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়ে রিকশাচালকরা তার আইডি কার্ড দেখতে চাইলে সোহেল আইডি কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে মারধর করে স্থানীয় লোকজন ও রিকশাচলকরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বলেন, সকালে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রিকশাচালকের বিরুদ্ধে অভিযানে যায়৷ সেখানে রিকশাচালকরা তাকে মারধর করে৷ সেই পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন সুস্থ আছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ঘটনাটির একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।