জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির ও রাজাকার।
শনিবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। তার পোস্টটি যুগান্তরের পাঠকদের জন্য হুবহু দেওয়া ধরা হলো-
‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দল কেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী ও দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।
‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এ ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পার্সপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’
একইভাবে মধ্যে মধ্যে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।
তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে?
সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।
আমরা এ প্রজন্ম চাই-
ইতিহাসের এ অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি;
তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।
যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এ ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পার্সপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই।
ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।