জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে রোজার সঙ্গে তারাবি নামাজের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অথচ এ নামাজ সম্পর্কে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সঠিক ধারণা নেই। যার কারণে বেশিরভাগ মানুষের তারাবি নামাজ হয় না।
রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি পড়তে হবে তারাবি নামাজ। এ বিষয়ে রাসুলে আকরাম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবি নামাজকে সুন্নাত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানে দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবি নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হবে, যেরূপ নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয় (নাসায়ি, পৃষ্ঠা: ২৩৯)।’
এ থেকে সহজেই বোঝা যায়, সব মুসলিমের জন্য তারাবি নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ নামাজ মূলত রমজান মাসে এশার নামাজের পর আদায় করা সুন্নাত নামাজকে বুঝায় (কামুসুল ফিকহ)।
এ নামাজে চার রাকাত পরপর বিরতির মাধ্যমে বিশ্রাম নেয়া হয় বলে এর নাম তারাবি। এ নামাজে দেহ-মনে প্রশান্তি আসে বলেই এর নাম তারাবি বা প্রশান্তির নামাজ। ২০ রাকাত তারাবি নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
এ নামাজ নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণার অভাব থাকায় অনেক হাফেজকেই দেখা যায় অতি দ্রুত কোরআন তেলওয়াত করতে। আবার মসজিদের ইমাম এত দ্রুত রুকু সেজদা করেন যে বয়স্ক ব্যক্তিরা তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না। এমন অবস্থায় আপনার নামাজ পড়া মোটেও উচিত নয় বলে মনে করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আমরা অনেকেই মনে করি, যে দ্রুত কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে সে তত বড়ো হাফেজ। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কোরআন কালিমের তেলাওয়াত যত সুন্দর ও ধীর গতিতে যে পড়তে পারেন সেই বড় হাফেজ। কারণ ধীর গতিতে সুন্দরভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে যথেষ্ট পারদর্শিতা ও ধৈর্যের ব্যাপার।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও মনে করেন, তারাবি নামাজের ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। তারাবি মানেই হলো আরাম করে ধীরে ধীরে পড়া। তাই তারাবি নামাজ পড়ার সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না। কারণ তাড়াহুড়ো করে নামাজ পড়লে আপনার তারাবি নামাজ হবে না।
তাই আসুন রমজানের এই দিনগুলোতে আমরা রোজা ও সিয়ামের গুরুত্ব উপলদ্ধি করি এবং সঠিক নিয়মে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তারাবি নামাজ আদায় করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।