জুমবাংলা ডেস্ক : সোনালী ব্যাংক লিমিটেড’র গাইবান্ধা শাখা থেকে ভুলবশত ৩ কোটি ২৫ লাখ চলে যায় ঢাকার এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। এত অর্থ একসঙ্গে পেয়ে দেরি করেননি ওই গ্রাহক।
তুলে নেন ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা।
বাকি টাকা কোথায় সে বিষয়ে গ্রেফতার আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবু তাহের একজন আদম ব্যাপারী। একটি ডিজিট ভুলের কারণে সোনালী ব্যাংকের ভাউচারের সোয়া তিন কোটি টাকা যোগ হয়ে যায় আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে তার একটি অ্যাকাউন্টে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেন গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ। তিনি জানান, গত ৬ জুলাই ডাচ-বাংলা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাইবান্ধা শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ভাউচার জমা দেন। ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং ও গ্রাহকের ভীড়ে ভুলবশত জমা হয়ে যায় আমির ইন্টারন্যাশনাল নামের অ্যাকাউন্টটিতে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রুটিন চেক আপের সময় বিষয়টি নজরে আসে ব্যাংক ম্যানেজার জাহিদুল ইসলামের। পরে তিনি ফোন দেন আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে অ্যাকাউন্টটির গ্রাহক আবু তাহেরকে। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। খোঁজ নিয়ে ট্রান্সফার হওয়া অর্থ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ তুলে নেওয়ার তথ্য পান ব্যাংক ম্যানেজার। পরে তিনি বিষয়টি লিখিত আকারে পিবিআইকে জানান।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রযুক্তি ও বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) নোয়াখালী থেকে আবু তাহেরকে আটক করা হয়। এ সময় জানা যায়, তিনি একজন আদম ব্যবসায়ী ও আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে অ্যাকাউন্টটি তার। জিজ্ঞাসাবাদে টাকা তুলে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ বলেন, মূলত একটি ডিজিট পরিবর্তনের কারণে সোনালী ব্যাংকের ওই ভাউচার ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা না হয়ে আবু তাহেরের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। পরে তিনি ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করেন।
তাহেরের দেওয়া তথ্য অনুসারে গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় তার শ্যালিকার বাসা থেকে ২০ লাখ ও ভাটার থানা এলাকার স্ট্যার্ডাড ব্যাংক থেকে ১০ লাখ উদ্ধার করে। ১৫ লাখ টাকা আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে অ্যাকাউন্টেই জমা আছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা কোথায় জানতে ও উদ্ধারে আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। গ্রেফতার আবু তাহেরকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।