জুমবাংলা ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপি চলাচলে এবার আলাদা টার্মিনাল করার পরিকল্পনা নিয়েছে সিভিল অ্যাভিয়েশন। বাস্তবায়ন হলে এয়ারপোর্টে প্রবেশ বা সড়কে আর অনাকাঙ্ক্ষিত যানজটে পড়তে হবে না সাধারণ যাত্রীদের। এ উদ্যোগকে ইতিবাচক ও দূরদর্শী ভাবনার প্রসার বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর মহাসড়ক, হরহামেশাই লেগে যায় যানজট। যেকোনো দিন বা সময় এমন গোলকধাঁধায় পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মূল্যবান সময় অপচয় নিত্যদিনের সঙ্গী নগরবাসীর। তার ওপর যদি থাকে রাষ্ট্রীয় বা বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের চলাচল, যা সাধারণদের পাশাপাশি বিশেষভাবে শাহজালাল বিমানবন্দর যেতে হয় অতিরিক্ত ভোগান্তিতে ফেলে আকাশপথের অনেক যাত্রীকে।
নাভিশ্বাস এমন পরিস্থিতির পরিবর্তনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের সঙ্গে নতুন করে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল নির্মাণের, যা নির্মাণ করা হবে তৃতীয় টার্মিনালের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে।
বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য রুট নির্ধারণ করা হয়েছে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ভেতর দিয়ে সোজা বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটিস্থল। টার্মিনালটি নির্মাণ করা হলে মহাসড়কে আটকে থেকে নগরবাসীকে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে মনে করে সিভিল এভিয়েশন।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন,
সরকারের পরিকল্পনা আছে যে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে একটা ভিভিআইপি টার্মিনাল রানওয়ের পশ্চিম দিকে করা। এতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় সাধারণ জনগণের কোনো অসুবিধা হবে না।
সিভিল এভিয়েশনের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে টার্মিনালেও বিমান ওঠানামায় কোনো প্রভাব যেন না পড়ে, সেদিকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন,
এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। এতে কিছুটা হলেও সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। তাই একদিক থেকে এই সিদ্ধান্তটা ভালো বলে মনে করি। কিন্তু এটা ভিভিআইপি চলাচলের ক্ষেত্রে অন্যান্য যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো বিবেচনা করার দরকার আছে।
ভিভিআইপি টার্মিনালে মূলত জাইকা নাকি সিভিল এভিয়েশন অর্থায়ন করবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ ব্যয় ২০০ কোটি টাকার হিসাব ধরা হলেও বর্তমানে ব্যয় বাড়বে বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।