স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হলেও নেইল ওয়াগনারকে একাদশে রাখা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচকরা। নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ওয়াগনার। কোচ গ্যারি স্টিডের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর আলোচনার এমন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে সংবাদ সম্মেলনে কোচের পাশে বসেই অবসরের ঘোষণা দেন ওয়াগনার। সেখানে তিনি বলেন, আমি জানতাম সময় ঘনিয়ে আসছে। তারা মাঝে মাঝে বলতেন, আমি কখন অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন। তখন আপনি একভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আমি জানতাম সময় চলে এসেছে এবং সেটি খুব কাছাকাছি।
ওয়াগনার বলেন, গত সপ্তাহে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবং আসন্ন টেস্ট ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি ভেবেছিলাম এটাই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর। অন্যদের আসতে দেওয়া এবং আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে দল হিসেবে যা করে আসছি তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার।
‘ তবে অবসর নেওয়াটা কখনই সহজ নয়। এটি একটি আবেগময় রাস্তা। তবে আমি মনে করি যে সেই ব্যাটনটি পাস করার সময় এসেছে এবং সেই ব্ল্যাক ক্যাপটি বাকিদের জন্য একটি ভালো জায়গায় রেখে দেওয়া এবং আশা করি নতুনরা এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
ওয়াগনার প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিবেচনায় ছিলেনই না। তবে নিউজিল্যান্ডের নির্বাচকরা পরে ফাস্ট বোলারকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যদিও তাকে একাদশে খেলাবেন না।
ওয়াগনার বলেন, আমি এখানে থাকতাম না। আমি মনে করি এটা দলের জন্য খুব সুন্দর একটা উপায়। তারা আমাকে এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য তাদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছিল। এটি সত্যিই চমৎকার, সদয় অঙ্গভঙ্গি ছিল।
‘ আমি ভেবেছিলাম যে আমি সর্বদা যা করে আসছি, এখানে আসা, দলের সাথে এখানে থাকা, আমার মুখে হাসি নিয়ে সবকিছু করা এবং ছেলেদের সেবা করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায় হবে। আমি তো ঠিক তাই। এটি একটি চমৎকার এবং আমি এখানে আসতে পেরে সত্যিই অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
হর্সপাওয়ার শুনলে চমকে উঠবেন, ৫০০ সিসির মধ্যে সেরা বাইক কোনগুলি জেনে নিন
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ওয়াগনার ক্রিকেট খেলার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। কিউইদের জার্সিতে খেলেছেন ৬৪টি টেস্ট ম্যাচ। সাদা পোশাকে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম ভয়ংকর পেস বোলার ছিলেন তিনি। মাত্র ৫২.৭ স্ট্রাইক রেটে ২৭.৫৭ গড়ে ২৬০ উইকেট পান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে কেবল স্যার রিচার্ড হ্যাডলির টেস্ট স্ট্রাইক রেট ভালো যারা একশ‘র বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।