জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউট করার পর আবারও আলোচনায় যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে যেন আর কখনও স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
তবে, নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় সংলাপের ২০তম দিনে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন—সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
এর আগে, ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপি। সোমবার (২৮ জুলাই) বৈঠক শুরুর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়াকআউট করে দলটি।
এর আগে রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠক হয়। বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ তিন দিনের মধ্যে অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করে ঐকমত্যের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. আলী রিয়াজ বলেন, আমরা খসড়া নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা করবো না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে তাহলে সেটা ফ্লোরে আনবো, না হলে আনবো না। আলাদাভাবে যদি আপনারা কোনো মতামত দেন, সেগুলো সংযোজন করেই চূড়ান্ত সনদ হবে। সেখানে পটভূমি থাকবে, প্রক্রিয়া থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে। কিন্তু এখন প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর তালিকা এখনই দেওয়া হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।