বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দূর থেকে দেখলে মনে হবে আইসক্রিম বিক্রির সাধারণ গাড়ি। যা আইসক্রিম কার্ট নামেও পরিচিত। তিন চাকায় ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। পেছনের অংশে ফ্রিজারে আইসক্রিম ভরা। কিন্তু কাছে গেলে ভুল ভাঙবে। এটা তিন চাকার মামুলি কোনো ইলেকট্রিক বাহন নয়। রীতিমতো সৌর বিদ্যুতে চলে। পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনী এই বিশেষ আইসক্রিম বিক্রির গাড়ির দেখা মিলল রাজধানীর কুড়িলের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায়। সেখানে চলছে তিন দিনের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩। এককভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দেশের শিল্পগ্রুপ ওয়ালটন।
সৌর বিদ্যুৎ চালিত দেশের প্রথম আইসক্রিম কার্ট তৈরি করেছে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এটিএস এক্সপ্রোতে আগত দর্শনার্থীদের জন্য পরিবেশবান্ধব এই ইলেকট্রিক কার্ট প্রদর্শন করা হচ্ছে। চাইলে আইসক্রিম উৎপাদন কিংবা বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ালটনের কাছে ফরমায়েশ দিয়ে এমন ইলেকট্রিক আইসক্রিম কার্ট তৈরি করিয়ে নিতে পারবে। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যারা খুচরা পর্যায়ে আইসক্রিম বিক্রি করেন তারাও ওয়ালটন থেকে তিন চাকার এই গাড়ি কিনতে পারবেন। শিগগিরই ওয়ালটন বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে।
ওয়ালটনের তৈরি এই ইলেকট্রিক আইসক্রিম কার্টটি চার্জ হয় সৌর শক্তির মাধ্যমে। এজন্য এর ছাদে বসানো হয়েছে দুইশ ওয়াটের দুইটি প্যানেল। এই প্যানেল সূর্যের তাপ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ব্যাটারিতে সঞ্চয় করে।
এই ব্যাটারি থেকে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাধ্যমে আইসক্রিম ঠান্ডা রাখার রেফ্রিজারেটর চলে। বাহনটি চলার জন্য মোটরও ঘোরে ব্যাটারি থেকে শক্তি নিয়ে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় বাতি ও সাউন্ড সিস্টেমও চালানো যায়। চাইলে এসি সিস্টেম থেকেও এই গাড়ির ব্যাটারির চার্জ করা যায়। দিন শেষে বাসা-বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে রেফ্রিজারেটরটি চালু রাখা যাবে।
ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর বিভাগের প্রডাক্ট ম্যানেজার ও অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম (রেজা) ঢাকা মেইলকে বলেন, এটি একটি পোর্টেবল সোলার আইসক্রিম কার্ট। যা ওয়ালটনের তৈরি। এতে ব্যবহৃত প্রায় প্রতিটি কম্পোনেন্টই আমাদের তৈরি। এতে ওয়ালটনের ফ্রিজ, ব্যাটারি এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। এটাকে স্মার্ট আইসক্রিম কার্ট বললেও ভুল হয় না। কেননা, তিন চাকার এই বাহনটিতে হাই কোয়ালিটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজি, মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, ব্লুটুথ, ইউএসবি কানেক্টিভিটি, হাইব্রিড পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গাড়িটিতে ইন্টারঅ্যাক্টিভ ডিসপ্লেও থাকছে। যা ক্রেতার চাহিদা মাফিক সরবরাহ করা যাবে।
তিনি জানান, এখনো পোর্টেবল আইসক্রিম ফিজার বিক্রির জন্য বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়নি। পোর্টেটাইপ পর্যায়ে রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। তখন এর দাম হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।