লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেরই দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করার পরেও সম্পর্ক পরিণতি পাচ্ছে না। আবার প্রেম করে বিয়ে হলেও সেই বিয়ে টিকছে না। এর প্রধান কারণ মানসিক অস্থিরতা। উদ্বেগ, চিন্তা প্রশমিত হলে যে কোনও সম্পর্ক ভাল থাকবে।
সাধারণত অফিসে অত্যধিক কাজের চাপ, অনিশ্চয়তা, ভয়, ভবিষ্যৎ চিন্তা থেকেই মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে সম্পর্কে। সঙ্গীকে সময় দিতে পারছেন না। ফলে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, ভরসা কমছে এবং দূরত্ব বাড়ছে। তবে ৭ টিপস মেনে চললেই সম্পর্ক থাকবে চিরনতুন।
খোলাখুলি ও সৎ কমিউনিকেশন- যে কোনও সুখী সম্পর্কের প্রধান চাবিকাঠি হল, কমিউনিকেশন। যে কারণেই মানসিক উদ্বেগ হোক, সঙ্গীর সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিন। সঙ্গীরও কোনও ব্যবহার খারাপ লাগালে সেটা খোলাখুলি আলোচনা করুন। দুজনেই সম্পর্কের প্রতি সৎ থাকুন।
সম্পর্কে শ্রদ্ধা রাখুন- যে কোনও সম্পর্কের জন্য পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা এবং পরস্পরকে বোঝা জরুরি। সঙ্গীর আচরণ-অভ্যাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নিজেদের আচরণে একটি সীমারেখা রাখুন। সঙ্গীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা উচিত নয়, যার প্রভাব সম্পর্কে পড়বে।
আলোচনা করুন- দিনের অন্তত খানিকটা সময় সঙ্গীর জন্য রাখুন। কোনও বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে সেটা নিয়ে অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। সঙ্গীর সঙ্গে মতবিরোধ হলেও খোলাখুলি আলোচনা করুন। সমস্যা অনেক কমে যাবে।
সবসময় বাস্তবের সঙ্গে ভাবনার মিল হয় না- উদ্বেগের অন্যতম কারণ অযৌক্তিক ভাবনা। নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। বাস্তবতা মাথায় রেখে অনুভূতি প্রকাশ করুন, যেন সেটা সঙ্গীকে আঘাত না করে।
ভরসা রাখুন- যে কোনও সম্পর্কের ভিত হল, বিশ্বাস আর ভরসা। সঙ্গীর কাছে স্বচ্ছ থাকুন এবং সঙ্গীর প্রতি ভরসা রাখুন। সম্পর্কে স্বচ্ছতা এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ভরসা থাকলেই উদ্বেগ ঘেঁষবে না এবং সম্পর্ক ভাল থাকবে।
সঙ্গীর যত্ন নিন- বর্তমান পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই অধিকাংশই ভালবাসার কাঙাল। সঙ্গীর প্রতি একটু খেয়াল রাখুন। রোজকার জীবনযাত্রায় সঙ্গীর ছোট-ছোট ইচ্ছা, ভাললাগার বিষয়ে গুরুত্ব দিন। তাহলেই উদ্বেগ, মানসিক দূরত্ব দূর হবে।
নেতিবাচক ভাবনাকে প্রশ্বয় না- সঙ্গীর মনে নেতিবাচক ভাবনা এলে সেটিকে প্রশ্বয় না দিয়ে বা রাগ না করে ঠান্ডা ভাবে সামলানোর চেষ্টা করুন। সঙ্গীর পাশে থাকুন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বেশি করে কথা বলুন।
নিজের প্রতি যত্ন নিন- নিজে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে কাউকে সুস্থ রাখতে পারবেন না। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। শরীরচর্চা, মেডিটেশন এবং গান শোনা, ছবি তোলার মতো নিজের সখগুলির জন্য কিছুটা সময় রাখুন। তাহলে উত্তেজনা অনেকাংশে কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।