অন্যরকম খবর ডেস্ক : একসময় রাস্তার পাশে জুস বিক্রি করতেন সৌরভ চন্দ্রকার। আর রবি উপ্পলের ছিল টায়ারের ব্যবসা। এখন তারা পাঁচ হাজার রুপির (বাংলদেশি মুদ্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা) মালিক। আর এই অর্থের উৎস মহাদেব বেটিং নামের একটি অ্যাপ। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত যতগুলো মামলা ইদানিং ভারতে হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে আগেই থাকবে মহাদেব বেটিং চক্র। কারণ এই স্ক্যামে নাম জড়িয়েছে বলিউডের তাবড় অভিনেতাদের। এই চক্রের প্রধান সৌরভ চন্দ্রাকার ও রবি উপ্পল।
মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ-এর মাধ্যমে ফুটবল, ক্রিকেট, হর্স রেসিং, টেনিস, পোকারসহ বিভিন্ন খেলায় বিনিয়োগ করা হত। যার মাধ্যমে প্রতিদিন আয় হতো ২০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬৪ কোটি টাকা)।
সৌরভ এবং রবির বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য পরোয়ানা এবং লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি। তাঁরা দুজনেই ছত্তিশগঢ়ের বাসিন্দা। এক সময় দুজনেই ছিলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের।
রবি এবং সৌরভ, দুজনেরই অনলাইন বেটিংয়ের নেশা ছিল। যেটুকু রোজগার করতেন, তার বেশিরভাগটা দিয়েই করতেন বেটিং। এক সময় দুজনেই এর পর পাড়ি দেন দুবাইয়ে। এরপর আরও কয়েকজন বিদেশিদের সঙ্গে মিলে তাঁরা তৈরি করেন অনলাইন বেটিং সংস্থা।
অ্যাপটি কাজ করে চার থেকে পাঁচটি সমাজমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে। ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অ্যাপের খেলার নিয়ম এতটাই গোলমেলে যে, অর্থ বিনিয়োগ করলে ফেরত পাওয়ার সম্ভবনা প্রায় শূন্য। তাই পুরোটাই যায় কর্ণধারদের পকেটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।