জুমবাংলা ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন এবং আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে চলেন।
বাংলাদেশ সরকারের জঙ্গিবিরোধী অবস্থান ও কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, এর ফলে বাংলাদেশে গত বছর জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী ঘটনা তেমন ঘটেনি। ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২’ এর বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বিশেষত আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূল করার জন্য অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ কয়েক ডজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে
প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণের বিষয়টিও তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানকালে আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ব্যাহত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশ সরকার বছরের বাকি সময়জুড়ে কয়েক ডজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হামলার ঘটনায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে গত ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ‘কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষে পর্যন্ত পলাতক ছিল’—উল্লেখ করা হয় এতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচিত কারাগারগুলোতে বাস্তবায়নের জন্য সহিংসতা থেকে একটি সমন্বিত ‘ডেরাডিকালাইজেশন’ প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করে।—সূত্র: ইউএনবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।