লাইফস্টাইল ডেস্ক : কর্মক্ষেত্রে হোক বা নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো— সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় ইংরেজির। আবার যারা বিদেশে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করছেন তাদের জন্যও এই ভাষা বেশ জরুরি। কিন্তু অনেকেই ইংরেজি বলতে না পারায় হীনমন্যতায় ভোগেন।
কাজের প্রয়োজনে কিংবা জরুরি সময়ে নিজেকে প্রকাশ করতে অস্বস্তিতে পড়েন। কেবল ইংরেজি বলতে পারেন না বলেন নিজেকে গুঁটিয়ে নেন অনেককিছু থেকেই। প্রায়ই নিজেকে অযোগ্য মনে হয়।
মনোবিদদের মতে, বিদেশি ভাষা বলতে বা লিখতে গেলে হোঁচট খাওয়া স্বাভাবিক। কারণ জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মাতৃভাষা শোনার যে অভ্যাস তৈরি হয়, অন্য কোনো ভাষার ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। আর তাই ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শোনার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু কী শুনবেন? টেলিভিশন বা মোবাইল ফোনে ইংরেজি খবর আর অনুষ্ঠান দেখতে পারেন, শুনতে পারেন।
তবে ভাষা প্রশিক্ষকরা মনে করেন, পছন্দের কিছু দেখে শিখলে এই কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ইংরেজি সিনেমা দেখানোর অভ্যাস করানো হয়। তাই বলে যেকোনো ইংরেজি সিনেমা দেখলেই হবে না। বেশিরভাগ সিনেমায় কঠিনভাবে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। যা শেখার জন্য কষ্টকর। কিছু সহজ সিনেমা দেখে ইংরেজির চর্চা করতে পারেন সহজে। চলুন বিস্তারিত জানা যাক-
জুরাসিক পার্ক
ছেলেবেলায় হয়তো এই সিনেমা দেখেছেন। এরপর ছোটদের সিনেমা বলে আর দেখা হয়নি। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে কিন্তু এই চলচ্চিত্রটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এখানে সহজ ইংরেজি ব্যবহার করা হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু নতুন শব্দ শিখে ফেলতে পারেন জুরাসিক পার্ক দেখে।
জজ
একই পরিচালকের আরও একটি সিনেমা জজ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। পিটার বেঞ্চলের লেখা উপন্যাসের উপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। ছবির মূল বিষয়বস্তু হলো সমুদ্রের তলায় রাজত্ব করা একটি হাঙর এবং তার নরখাদক হয়ে ওঠা। যেহেতু শিশুদের কথা মাথায় রেখে এই ছবি বানানো, তাই বিষয় ও ভাষাগত প্রয়োগ খুবই সহজ। সমু্দ্রের তলার জগৎ সম্পর্কিত নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারেন এই ছবি দেখে। সেসঙ্গে ইংরেজির চর্চাও হবে।
টয় স্টোরি
অ্যানিমেটেড সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সাধারণত ছোটদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশেই এমন সিনেমা তৈরি করা হয়। কিন্তু এই ধরনের সিনেমাতে ব্যবহার করা সংলাপ এবং চিত্রনাট্য এতই সহজ যে, তা সহজেই বোঝা যায়। আমাদের চারপাশে এমন অনেক কিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, যেগুলির ইংরেজি মানে হয়তো অনেকেই জানেন না। এই সিনেমা দেখে সহজেই সেগুলো শিখে নিতে পারবেন।
দ্য কুইন
ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং তার ইতিহাস নিয়ে যদি কৌতূহল থাকে, তবে দেখতে পারেন ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কুইন’ সিনেমাটি। স্টিফেন ফ্রিয়ার্স পরিচালিত সিনেমাটিতে যেমন তুলে ধরা হয়েছে দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানি হয়ে ওঠার যাত্রাপথ, তেমনই দেখানো হয়েছে রাজপরিবারের বিতর্কিত চরিত্র রাজকুমারী ডায়নার পরিণতি। ইতিহাস ও রাজপরিবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক শব্দের সঙ্গে পরিচয় হবে এই ছবিতে।
বিফোর সানরাইজ
১৯৯৫ সালে মুক্তি পেয়েছে রিচার্ড লিঙ্কলেটার পরিচালিত নিখাদ ভালোবাসার সিনেমা বিফোর সানরাইজ। এক তরুণ ও তরুণীর ট্রেনে চড়ে ইউরোপ থেকে ভিয়েনা যাওয়া এবং একে অপরের সঙ্গে কাটানো ওই একটি মাত্র রাত। এই হলো ছবির বিষয়বস্তু। জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার মিথ্যা আস্ফালন ছুঁয়ে ফেলার আগে দুটো মানুষের নিষ্পাপ অনুভূতির বর্ণনা দেখে পুরনো ভালবাসা, কলেজ প্রেমের কথা মনে পড়তে বাধ্য। সেসঙ্গে ভালোবাসা, প্রেম, আবেগ, ঘোরাঘুরি, বন্ধুত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন অনেক শব্দই শিখতে পারবেন এই সিনেমা দেখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।