বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এখন স্মার্টফোনের যুগ। ফ্যাশন কিংবা প্রয়োজনীয়তা দুই ক্ষেত্রেই স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়ে গেছে। তবে সবসময় ভয় থাকে ফোনে পানি লাগে কিনা। পানিতে ফোন পড়ে নষ্ট হওয়ার ঘটনা নতুন নয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারের সাবলীলতা বাড়াতে নির্মাতারা তাদের ফোনে পানিপ্রতিরোধী ফিচার যোগ করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যগুলোকে ওয়াটারপ্রুফ, স্প্ল্যাশপ্রুফ বা স্পিলপ্রুফ বলে বিক্রি করেন। তবে অনেকেই এই সব কিছুর মধ্যে পার্থক্য জানেন না। সবটিকেই ওয়াটারপ্রুফ ভেবে ভুল করে থাকেন। তাই একটি নতুন ফোন কেনার আগে যাতে কোনো ভুল না হয় এজন্য তিনটির মানে ও পার্থক্যটা জানতে হবে।
ওয়াটারপ্রুফ
এই ধরনের স্মার্টফোন পানিতে ডুবে থাকার পরেও পুরোপুরি কাজ করে। যদিও ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্যই এই কাজটি করতে পারে। কিন্তু তার পরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে বেশিরভাগ স্মার্টফোনই ওয়াটার প্রুফ বা পানি প্রতিরোধী নয়। এর কারণ হলো কোনো স্মার্টফোনকে ওয়াটারপ্রুফ করতে গেলে অনেক খরচ হয়। কোম্পানি যখনই কোনো ফোন কম দামে বিক্রি করে, তখন অনেক সময়ই সেই ফোন ওয়াটার প্রুফ হয় না।
স্প্ল্যাশপ্রুফ
স্প্ল্যাশপ্রুফ স্মার্টফোন ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন থেকে একেবারেই আলাদা, অনেক সময় দোকানদাররা এগুলোকে ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন হিসেবে বিক্রি করে। কিন্তু আদতে তা হয় না। ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোনের তুলনায় এগুলো পানিতে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি এই স্মার্টফোনগুলোতে একটু পানি পড়ে, তবে তা সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হয়ে যায় না। পরে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে থাকে।
স্পিলপ্রুফ
স্পিলপ্রুফ স্মার্টফোন স্প্ল্যাশপ্রুফ স্মার্টফোনের চেয়ে পানিতে অনেক কম কাজ করতে পারে। তার মানে আপনার স্মার্টফোনটি যদি বৃষ্টিতে ব্যবহার করেন, তবে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে। কম দামি স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত স্পিলপ্রুফ ফিচার ব্যবহার করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দোকানদার আপনাকে ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন বলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।