যারা ভাবছেন পৃথিবী ছেড়ে দিয়ে অন্য গ্রহে পাড়ি দেবেন, তাদের জন্য সুখবর। বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে অবাক করা এক সুপার আর্থ। এটি পৃথিবী থেকে ১৫৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই গ্রহের আকার পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ এবং এতে রয়েছে প্রচুর জল। ফলে সেখান থেকে এই গ্রহে থাকতে খুব একটা সমস্যা হবে না পৃথিবীবাসীর।
নাসার শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহটিকে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন, এই গ্রহের বয়স প্রায় ৭.২ বিলিয়ন বছর। এত বছর ধরে এখানে জল থাকার মানে হলো, এখানে প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে। নাসার বিজ্ঞানীরা এটিকে ভিনগ্রহের প্রাণীদের আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে TOI-1846। এর ঝকমকে ছবি বিজ্ঞানীদের মন কেড়েছে। ঠিক মহাকাশ থেকে পৃথিবী যেমন উজ্জ্বল দেখায়, তেমনি TOI-1846 এর ছবিও সকলকে অবাক করেছে। যদি এখানে জল না থাকত, তাহলে এমন চমকপ্রদ রূপ সম্ভব হতো না। এই গ্রহে প্রাণের উপস্থিতির প্রায় সব পরিবেশই বিদ্যমান। ফলে অনেকেই ধারণা করছেন, এখানেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা বসবাস করছেন।
নাসার বিজ্ঞানীরা TOI-1846-কে সুপার আর্থ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদি সত্যিই সেখানে এলিয়ান থাকে, তাহলে তারা হয়তো সেখান থেকেই পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করেছে। আর যদি তা-ই হয়, তবে এই দুই গ্রহের মধ্যে এক নতুন সম্পর্ক বা সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে—এটাই এখন দেখার বিষয়।
তবে আনন্দের পাশাপাশি এবার কিছুটা উদ্বেগে পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, যদি ভিনগ্রহের প্রাণীরা সত্যিই সেখানে থাকে এবং যদি তারা পৃথিবীতে আক্রমণ করে, তাহলে তা মানবজাতির জন্য বিশাল বিপদের কারণ হতে পারে। নতুন জলের গ্রহ আবিষ্কার করে যেমন বিজ্ঞানীরা খুশি হয়েছেন, তেমনি তাদের মনে দানা বাঁধছে নানা আশঙ্কাও। তাহলে কী এবার মানুষের সঙ্গে এলিয়ানদের যুদ্ধ শুরু হবে? শেষ পর্যন্ত কে টিকে থাকবে, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।