জুমবাংলা ডেস্ক : টানা ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায়। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকেই পাচ্ছেন না রিকশা বা কোনো বাহন। মাঝে মাঝে দু’একটি রিকশা পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। কেউবা আবার বাড়তি ভাড়া না গুনে হাঁটু পানির মধ্যেই বৃষ্টিতে ভিজে ছুটে চলছেন গন্তব্যে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, শাহবাগ, সচিবালয়, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর বাসাবো ও মুগদা-মান্ডা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন গেছে, রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ সমস্যায় বড় ভুক্তভোগী মান্ডা, মুগদা, বাসাবো, মতিঝিল ও কমলাপুরের মানুষ। এসব এলাকার সড়ক দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ঘরমুখো মানুষ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো বাহন পাচ্ছেন না। ফলে অনেকে হাঁটু পানির মধ্যেই ছুটে চলেছেন গন্তব্যের দিকে। মাঝে মধ্যে কেউ রিকশা অথবা সিএনজি পেলেও গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ ভাড়া।
তীব্র জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ফুটপাতের দোকানিরাও। এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতে বসা বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ। কিছু দোকান খোলা থাকলেও বেচাকেনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মতিঝিল থেকে কমলাপুর স্টেশনগামী রিফাত শাহরিয়ার বলেন, সাধারণত মতিঝিল থেকে রেল স্টেশনে আসতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিই। কিন্তু আজ মতিঝিল থেকে রেল স্টেশন আসতেই গুনতে হয়েছে ১৫০ টাকা। সাথে ছোট বাচ্চা আছে, ও না থাকলে হয়ত হেঁটেই যেতাম আমি। পুরো ঢাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে অথচ সিটি কর্পোরেশনের কোনো মাথাব্যথা নেই। অনেক রাস্তা কেটে ফেলে রাখা হয় কিন্তু বছর গেলেও আর মেরামত হয় না। এ সমস্যা থেকে বের হওয়ার যেন কোনো পথ নেই।
মুগদা মেডিকেল থেকে মান্ডাগামী জুনায়েদ বলেন, আমাদের মান্ডার রাস্তা যেন মৃত্যু ফাঁদ। কোনো রিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক কিছুই এ রাস্তায় যেতে চায় না। এ যেন ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন নগরী। হাঁটুর ওপরে পানি জমে আছে কিন্তু ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এভাবে কতদিন চলবে, সব ভোগান্তি তো মান্ডা এলাকার মানুষের।
জাকির হোসেন নামে এক রিকশাচালক বলেন, বৃষ্টি হলেই তো পানি জমে যায়। রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ কারণে ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হয়। সবসময় তো আমরা বেশি ভাড়া নিই না। তবে রাস্তাঘাট ভালো থাকলে এই ঝামেলাটা থাকত না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।