জুমবাংলা ডেস্ক : দুদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৪ কৃষক বন্ধুর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। বৃষ্টিতে তলিয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ৭০ বিঘা জমির তরমুজ। এখন লোকসান পুষিয়ে উঠা আর সুদের টাকা পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
তরমুজ চাষে ভাগ্য ফিরবেন এমন আশা নিয়ে প্রতি বিঘা ৬ হাজার টাকা দরে একই সঙ্গে ৭০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন চার কৃষক বন্ধু নৃপেন বৈদ্য, সুভাষ হালদার, মৃনাল মজুমদার ও বলোরাম মণ্ডল। তুলনামূলক বেশি উর্বর জমি পেয়ে নিজেদের গ্রাম কোটালীপাড়ার নলুয়া ছেড়ে ২০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম আশুতিয়া গ্রামে চাষাবাদ শুরু করেন।
গত ২৮ মার্চের প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ক্ষেতের বেশকিছু অংশ। শ্যালো মেশিন বসিয়ে সেচে ফেলেন সেই পানি। তার দুদিন পর (৩১ মার্চ) সারা রাতের বৃষ্টিতে পুরো ক্ষেত তলিয়ে যায়। এরই মধ্যে পানির নিচে থেকে পচে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় সব গাছই। দুদিনের রোদে কিছু জমি জেগে উঠলেও সে জমিতে পড়ে আছে গাছবিহীন ফসল (তরমুজ)।
তরমুজ চাষি নৃপেন বৈদ্য জানান, নিজেদের জমানো ৪ লাখ আর চড়া সুদে নেয়া ২৩ লাখ টাকা মিলে তরমুজ ক্ষেতে প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তারা। অসময়ে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই ক্ষেতের সব তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা এখন সর্বস্বান্ত।
সুভাষ হালদার বলেন, সঠিক পরিচর্যা আর পরিশ্রমে কোটালীপাড়ার অন্যান্য এলাকা থেকে এ এলাকার জমিতে ফলনও হয়েছিল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন পরই বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠত ক্ষেতের অধিকাংশ তরমুজ। কিন্তু একটা তরমুজও বিক্রি করতে পারেননি।
অপর কৃষক বলোরাম মণ্ডল বলেন, এরই মধ্যে পানির নিচে থেকে পচে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় সব গাছ। দুদিনের রোদে কিছু জমি জেগে উঠলেও সে জমিতে পড়ে আছে গাছবিহীন তরমুজ। এ ক্ষেত থেকে আর একটি টাকাও উসুল করার সুযোগ নেই।
কোটালীপাড়ার উপ-সহকারী উপজেলা অফিসার সুমন মৈত্র বলেন, বৃষ্টিতে ওই চার কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। তারপরও কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।