জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর পাংশায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ৯ ব্যবসায়ীকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে পাংশার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক প্রটোকল ছাড়া প্রথমে ছদ্মবেশে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন।
এ সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিশৃঙ্খলা করার লক্ষ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়ালে তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাসুদুর রহমান রুবেল ও পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই পাংশা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাজার মনিটরিংয়ে নামেন ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। এরপর তিনি ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে তরমুজ কিনতে গেলে ব্যবসায়ীরা তার কাছে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেন। এরপর তিনি সরেজমিনে আরও কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে দেখেন তারাও কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। পরে পাংশা বাজার, কালীবাড়ি মোড়, স্টেশন বাজারসহ বিভিন্নস্থানের ৯ জন অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদারকে মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও মোহাম্মাদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, তরমুজ ব্যবসায়ীরা কৃষকের খেত থেকে লট আকারে প্রতি পিস তরমুজ ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে কিনে এনে বাজারে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি পিস আকারভেদে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর আজ সরেজমিনে বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে তাদেরকে জরিমানা করা হয় এবং ব্যবসায়ীদেরকে কেজি দরে বিক্রি না করতে এবং পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।