বিনোদন ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়েছিল সারা দেশ। আন্দোলন যখন সহিংসতায় রূপ নেয়, তখন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। গত এক সপ্তাহে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেপ্তার-হয়রানির ঘটনায় যে যার মতো প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
তারকাদেরও দেখা যাচ্ছে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে। এবার সেই দলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতামত জানান। শুরুতেই জয়া লেখেন, “নৈরাশ্য আমাকে শূন্যতার দিকহীন সুরঙ্গে ছুড়ে দিয়েছে। এত মৃত্যু এত কান্না আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতার রক্ত-ঘামের বাংলাদেশে বইবে কেমন করে?”
অভিনেত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, “যে জীবন গেছে তা আর ফিরে আসবে না। যে ক্ষত আমাদের মনে সৃষ্টি হলো তা অমোচনীয়। কেমন করে পথ চলব আমরা। অবিশ্বাস, অনাস্থা, ঘৃণার আবহে পথ হারিয়ে ফেলব কি আমরা! দিশাহীন আমি বোধহীন আমি হতাশায় নিমজ্জিত আমি নিশ্চুপ সপ্তাহধিকাল! কী লিখব? কী বলব? কে শুনবে আমার কথা? এ কেমন ধূসর যাত্রায় রক্তাত্ব আমরা একাকী পথ হাঁটছি? কী এক অমানিশা আমাদের জীবনে নেমে এলো? কেমন করে পথ চলব আমরা? কেমন করে?”
নিরীহ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, “প্রাণগুলো চলে গেছে, বিষণ্ণতা রেখে গেছে, এই এত এত তাজা প্রাণের দাম তো অনেক, আমরা যে অনেক বেশি ঋণী হয়ে বেঁচে রইলাম!”
দেশে শান্তির প্রত্যাশা করে জয়া লেখেন, “হে ঈশ্বর আলো দাও, সবার হৃদয়ে। সব ঘৃণা ক্রোধ ধূয়েমুছে যাক আলোর বন্যায়, ভালোবাসায়। হত্যা মৃত্যু হানাহানি অতিক্রম করে একে অপরের হাত ধরে ভালোবাসায় কান্নায় যূথবদ্ধ পথ চলি, দেশটা ফিরে পাই আমরা আমাদের মতো করে। শান্তি চাই , শান্তি চাই, শান্তি চাই।”
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে হত্যাকাণ্ড ও নাশকতায় দায়ীদের শাস্তি চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে দৃশ্যমান শিল্পী সমাজ ও সন্ধ্যায় শাহবাগে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। অন্যদিকে ‘সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা’- এই স্লোগানে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের বেশ কিছু শিল্পী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।