জুমবাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, সামনে নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। জনগণের ভোট জনগণ দিবে। তাদের পছন্দের ব্যক্তিই তাদের নেতা (প্রতিনিধি) হিসেবে নির্বাচিত হবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে দ্রুত নির্বাচনের জন্য। আমরা আশাবাদী এই নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এক বছর অতি দ্রুত পেরিয়ে যাবে। আমাদের এখন কাজ প্রতিটি এলাকার মানুষের কাছে যাওয়া। তাদের সুখ দুঃখে সাথী হওয়া। জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমাদের উপরে জনগণের আস্থা আসলেই নির্বাচনে মানুষ ধানের শীষে ভোট দিবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মশালা বাস্তবায়ন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম, এ হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর জি. এম সাদরিল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো. রওশন আলী ও সহ-সভাপতি এস, এম, আসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় গিয়াসউদ্দিন বলেন, মনে রাখতে হবে জাতীয় নির্বাচন মুক্ত, স্থানীয় সরকার নির্বাচন মুক্ত নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এটা হতে পারবে না। এখন কেউ স্থানীয় নির্বাচন মুখে উচ্চারণ করতে পারবেন না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যখন ওই নির্বাচন আসবে তখন দেখা যাবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংগঠনের মধ্যে কেউ দলাদলি সৃষ্টি করবেন, কেউ আলাদাভাবে কাজ করবেন। যার যার ব্যক্তিত্ব প্রকাশের শক্তি প্রদর্শন করবেন, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায় হবে। দলের ক্ষতি হবে। ব্যক্তি স্বার্থের চাইতে দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করুন। সামনে নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। সেটার জন্য আমরা আসেন প্রস্তুতি নেই।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের নির্বাচিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যে অভিযোগ করেছিল সে নিজে বলেছে আমি ভুল করেছি, আমি প্রত্যাহার করছি আমার অভিযোগ। এই বক্তব্য লিখিতভাবে অলরেডি নেতৃবৃন্দের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী অতি দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। সে আমাদের মাঝে এসে কাজ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।