জুমবাংলা ডেস্ক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্সের জন্য আমরা এখন ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববাসী আমাদের নিয়ে আলোচনা করছে। আমাদের লক্ষ্য এসডিজি গোল অর্জন। এরপর আমরা এলডিজির দিকে এগিয়ে যাবো।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের উপর ক্রমাগত পেশাদার উন্নয়ন (বিএসএস): কর্পোরেট গভর্নেন্সকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) সেমিনারের আয়োজন করে। আইসিএসবির সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব। কারণ ব্যবসা না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যতীত এসডিজি এবং এলডিজি গোল পুরণ হবেনা।
আইসিএসবি সম্পর্কে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এখানে মানুষ শিখতে আসে। তারা কর্পোরেট গভর্ন্যান্স আর সেক্রেটারি ইস্যু শিখতে আসে। আমরা যা শিখেছি তা যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যদি এগিয়ে যেতে চাই তবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। তিনি বলেন, স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য রিসার্চ, সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং এভাবেই আপনারা হিউম্যান ক্যপিটাল হয়ে গড়ে উঠবেন, দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। তখন আপনার কোম্পানিকে চাইতে হবে না আপনাকে কোম্পানি চাইবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চাইলেই কোনো কোম্পানিতে সতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করে দিতে পারিনা। এখানে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যখন একটা প্রতিষ্ঠান সমস্যার সম্মুখীন হয় কিংবা পরিচালকগণ কোম্পানি পরিচালনায় ব্যর্থ হয় তখনই কেবল আমরা সতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করি। তাই যে কোম্পানিগুলো সতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের নিয়মের মাঝে আসেনা সে কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট গভর্নেন্স নিয়ন্ত্রণের যায়গাতেই রোল প্লে করে একজন কোম্পানি সেক্রেটারি।
ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩০ বছরে আইসিএসবির অগ্রগতি প্রসংশনীয়। আর যেভাবে আইসিএবি এগিয়ে যাচ্ছে এটা আপনাদের জন্য খুবই ভালো কিছু বয়ে আসবে। আমরা আশা করি আপনারা আরও বেশি দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশের অর্থনীতি কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বিএসইসি কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, আজকের সেমিনার একটি প্রোডাক্টিভ সিপিডি সেমিনার। আমি নিজেও এখানে শিখতে এসেছি। এটি একটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিএসইসি আরও নিবিড়ভাবে আইসিএসবির সাথে কাজ করবে কর্পোরেট গভর্নেন্সের উন্নয়নে।
ড. মিজান আরও বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন শুধু লিস্টেড কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু দেশে আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে। তাদেরই শুধু কর্পোরেট গভর্নেন্স দেখার জন্য একজন কোম্পানি সেক্রেটারি আছে। আমি মনে করি দেশের সকল কোম্পানির কর্পোরেট গভর্নেন্স উন্নয়নের জন্য কোম্পানি সেক্রেটারি নিয়োগ করা উচিৎ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিএসবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এমএনএ অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী এম নুরুল আলম, আইসিএসবির কাউন্সিল মেম্বার এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসইর) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ম্যানেজার নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।