জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রমজান শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন। যা বিশ্ব মানবতার মুক্তির মহাসনদ। তাই এই মাসে বরকতকে কাজে লাগিয়ে সকলকে আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনে ব্রতী হতে হবে।
তিনি সোমবার রাজধানীর ইব্রাহীমপুরে মনিপুর স্কুল মিলনায়তনে কাফরুল থানা দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আবু নাহিদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, জসিম উদ্দিন, নাজমুল হাসান খান প্রমূখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বনবী (সা.) পবিত্র মাহে রমজানের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি রজব মাসের প্রথম তারিখ হতেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এভাবে দোয়া করতেন যে, হে আল্লাহ তুমি আমাদের রজব ও শাবান মাসের পূর্ণ বরকত দান করো এবং মাহে রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করো। তিনি এজন্য এ মাস প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা করতেন যে, এ মোবারক মাস আল্লাহর কাছে হিসাব গ্রহণের শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসেই বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী আল কুরআন নাযিল হয়েছিল বলেই এ মাস মহাসম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। আর কুরআন নাযিলের জন্যই রমজান মাসও মহিমান্বিত। এ মাসেই বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়সহ ইসলামের বড় বড় বিজয় এসেছিল। তাই অন্য মাসের তুলনায় এ মাসের মরতবা ও মর্যাদা সমধিক।
তিনি পবিত্র মাহে রমজানে সিয়াম ও কিয়াস পালনের তাকওয়া ও তাজকিয়া অর্জন করতে সকলকে মনোনিবেশ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, রমজান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে; যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। আর রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে জাহান্নাহের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আর উন্মুক্ত করা হয় জান্নাতের দরজাগুলো।
হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, রোজ আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। অনত্র বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সঙ্গে রমজান মাসে রোজা রাখতে আল্লাহ তায়ালা তার অতীতের সকল গোনাহ মাফ করে দেবেন। তাই মাহে রমজানে আমাদের উদাসীন থাকার সুযোগ নেই বরং রমজানের মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতের নিয়ামত দান করবেন। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, রমজান গোনাহ মাফের মাস; তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে। তিনি রমজানের শিক্ষাকে লাগে লাগিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।