স্পোর্টস ডেস্ক : এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। আজই চট্টগ্রামে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। সিলেট টেস্টে ইতোমধ্যে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তারা চায় ঘুরে দাঁড়াতে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দলভুক্তি নাজমুল হোসেন শান্তদের জোগাবে বাড়তি প্রেরণা।
আবারও টেস্ট দলে ফিরতে পেরে সাবেক এই অধিনায়ক রোমাঞ্চিত বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। পাশাপাশি শান্তর অধিনায়কত্বেরও প্রশংসা করেছেন এই ক্রিকেটার।
দেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
সাকিব বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা খেলতে নামব। তবে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবসময় স্ট্রাগল করেছি। আমাদের জন্য কঠিন। তবে আমি মনে করি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত। অবশ্যই জেতা উচিৎ।’
এক বছর পর খেলতে নেমে কোনো ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য আছে কি না জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘নাহ আমি যতদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি, কোনোদিনই ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামিনি। কোনো অর্জন নিয়েও আমি সেভাবে চিন্তা করিনি। কোনো সবসময় চেয়েছি দেশের জন্য ও দলের জন্য কিভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাই আমার কাছে গর্বের। স্বাভাবিকভাবে তাই টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত।’
ভারতে শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। তার ডেপুটি ছিলেন শান্ত। দুটি ম্যাচে তার অবর্তমানে করেছেন অধিনায়কত্বও। এবার পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাকিবের চোখে তিনি কেমন অধিনায়ক?
জানতে চাইলে জবাবে সাকিব বলেন, ‘এটা বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। তবে শুরুটা ভালো হয়েছে। কিছু ফল তার পক্ষে এসেছে। বিসিবিও তাকে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করেই দিয়েছে নেতৃত্ব। আমি আশা করি সবার সহযোগিতা পেলে ও অবশ্যই অসাধারণ একজন নেতা হয়ে উঠবে।’
দেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরা ঘুরে দেখেছেন সাকিব। এখানকার পরিবেশ তাকে মুগ্ধ করেছে আগেও। গত বছরও বিপিএল চলার পথে তিনি ফরচুন বরিশালের সতীর্থদের নিয়ে এসেছিলেন। সে সময় মেহেদি হাসান মিরাজকে মজা করেই বলেছিলেন, ‘একটা ফ্ল্যাট কিনে নে।’ সেই স্মৃতি মনে করাতেই সাকিব বলেন, ‘আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ উত্তরাতে থাকে কিনা। যদি থাকে তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার জায়গা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আশা করি ক্রিকেটাররা এখানে ভালো একটা ডিসকাউন্টও পাবে (হাসি)।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।