আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে যে বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল সেটি হলো, রাশিয়ার সেনাদের যুদ্ধ করার মনোবল নেই।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাদের বিষয়ে বলা হয়েছিল, তাদের মনোবল অনেক চাঙ্গা। দেশকে রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিতেও দ্বিধা করছে না।
কিন্তু পুরো ইউক্রেনের চিত্রটা এক না। শুক্রবার গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, অনেক ইউক্রেনীয় সেনা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। কমান্ডাররাও তাদের কোনো সহায়তা করছে না।
সেরহি লাপকো নামে একজন কোম্পানি কমান্ডার বলেন, আমাদের কমান্ড কোনো দায়িত্ব নেয় না। তারা শুধু আমাদের অর্জনগুলোর কৃতিত্ব নিয়ে নেয়। তারা আমাদের কোনো সহায়তা দেয় না।
তারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং আটক কোর্ট মার্শালে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে।
এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ভিডিওতে বলা হয়, এটি ইউক্রেনের ১১৫ ব্রিগেডের, ৩য় ব্যাটালিয়ন যারা সেভেরোদোনেৎস্কে যুদ্ধ করছে। তারা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে কারণ তাদের কোনো যুদ্ধ কমান্ডার নেই। কোনো অস্ত্র নেই এবং সম্মানও নেই।
ভিডিওতে একজন সেনা বলেন, আমরা দুই সপ্তাহ ধরে এখন নতুন রশদের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের আসলে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে পাঠানো হচ্ছে।
তবে ইউক্রেনীয় সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি অনেক বিরল।
এই ব্যাটালিয়নেরই আরেকটি গ্রুপ অপর আরেকটি ভিডিওতে তাদের সহকর্মীদের সমালোচনা করে বলেছেন, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সহকর্মীদের ফেলে চলে গেছে। তাদের পলাতক বলে অভিহিত করে সেই গ্রুপটি।
অন্যদিকে মধ্য চেরাস্ককি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা জানান, তারা যুদ্ধ করতে চান। কিন্তু যুদ্ধ করার জন্য যে ভারি অস্ত্রের প্রয়োজন দরকার সেগুলো তাদের কাছে নেই।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।