জুমবাংলা ডেস্ক : জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পুড়ছে দেশ। রাতেও দিনের মতো তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘরে বাইরে কোথাও নেই এতটুকু স্বস্তি। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে জ্বর, ঠান্ডা-কাশির রোগী।
এদিকে রোববার (৪ জুন) ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও ৪ থেকে ৬ দিন চলবে এমন তাপদাহ। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেখা মিলতে পারে বহুল কাঙ্ক্ষিত মেঘের।
এ যেন দহনকাল। সকাল না হতেই রোদের খরতাপ। বেলা বেড়ে দুপুরের দিকে যা ধারণ করে একখণ্ড অগ্নিগোলকে। ঝাঝালো আগুনের তাপ চলে বিকেল গড়িয়ে গভীর রাত অবধি। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা খরতাপে পুড়ছে মানুষ। পুড়ছে প্রাণ-প্রকৃতি। দুর্বিষহ এ অবস্থায় ঘরে বাইরে কোথাও নেই সামান্যতম স্বস্তি। নেই একদণ্ড শান্তি।
টানা তাপদাহে সারা দেশের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও রাজধানী যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড অগ্নিগোলকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষজন। রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই বাইরে বের হয়েছেন ছাতা হাতে। অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের ছায়ায়।
তাপদাহে বেশি কষ্টের শিকার শ্রমজীবীরা। প্রাণ ওষ্ঠাগত পরিস্থিতির মাঝেও পেটের ক্ষুধা মেটাতে কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের। যদিও শরীর বেয়ে নামা ঘামের সঙ্গে ফুরিয়ে যাচ্ছে জীবনীশক্তিটুকুও।
সংকটময় এ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে দেশের হাসপাতালগুলোতে। বয়স্ক ও শিশু রোগী বাড়ছে গরমজনিত ঠান্ডা-কাশি ও জ্বর। এ সময়ে বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসেও নেই চটজলদি কোনো সুখবর।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আরও চার থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষভাগে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উঁকি দেয়ার সম্ভাবনা আছে বহুল কাঙ্ক্ষিত মেঘের।
গরমের এ সময়ে অযথা বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।