জুমবাংলা ডেস্ক : নীলফামারীতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সংবর্ধিত হলেন প্রেম করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ সাত দম্পতি। দিবসটি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের শহিদ মিনার চত্বরে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে শহরের ব্লু প্রিজেন্ট ব্যান্ড নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যান্ড দলের শিল্পীরা গানে গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শক-শ্রোতাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ। তিনি নিজেও ৪২ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন প্রেম করে। বক্তৃতায় সফল প্রেমের কাহিনি তুলে ধরেন তিনি। পরে একে একে অন্য সফল দম্পতিদের হাতে ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান।
সফল দম্পতিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর সেলিম ফারুক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তফা হক প্রধান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান কোকো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের সহধর্মিণী তাজমিন ফৌজিয়া ওপেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, নীলফামারী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তারিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘১৯৮০ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছি, ৪২ বছরের সংসারজীবন অতিবাহিত করছি। রাজনৈতিক সফলতার পেছনে আমার সহধর্মিণীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’ এ সময় তিনি প্রতিবছর এই দিনটিকে এভাবে পালনের আহ্বান জানান।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর সেলিম ফারুক বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি। ৩০ বছরের সংসারজীবনে আমাদের মান-অভিমান অনেক হয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা একটুও কমেনি। আজকের এ আয়োজন আমাদের অভিভূত করেছে। আজকে আমরা সকলে রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে সমবেত হয়েছি। এখানে ভালোবাসার জয় হয়েছে।’
নীলফামারী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান তারিকুল ইসলাম তার প্রেমজীবনের স্মৃতিচারণা করে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় তার কণ্ঠে ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখব’ সংগীত পরিবেশন করেন।
ব্যান্ড দলের লিডার সুকুমার পালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যান্ডের ভোকাল মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ফিরোজ।
ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের এ আয়োজনে ভালোবেসে বিয়ে করা সফল দম্পতিদের আহ্বান জানিয়েছি। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দল-মত-নির্বিশেষে সকলে অংশগ্রহণ করেছেন অনুষ্ঠানে। এমন আয়োজনে জয় হয়েছে ভালোবাসার। আয়োজনের সফলতায় আমরা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।