সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : জাপানে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জনশক্তি প্রেরণের জন্য প্রশিক্ষিত যুবদের তালিকা বা তথ্য প্রেরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে জাপান গমনেচ্ছুদের সাথে মশকরার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে।
গত ১ জুলাই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে জাপান গমনেচ্ছুদের তথ্য প্রেরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ইস্যু করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য প্রেরণের শেষ সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৮ জুলাই। অথচ মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সেটি প্রকাশ করা হয় ৮ জুলাই বিকেলে।
এদিকে, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ ও সরকারি ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোন প্রচার-প্রচারণা বা নোটিশ দেখা যায়নি।
তথ্য প্রেরণের শেষ দিনের শেষ কর্মঘন্টায় জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিটি প্রচারের পর থেকে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
জেলা প্রশাসকের সমালোচনা করে প্রকৌশলী দেলোয়ার কবির টিপু নামের একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে লেখেন, “আজকে শেষ সময়ে এই পোস্ট! এভাবেই দেশের সাধারণ মানুষ কে আর কতদিন ধোঁকা দিবেন? জনগণ জানতে চায়!! জবাব চাই”
মীর প্লাবন নামের আরেকজন লেখেন, “সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ”
আহসান হাবীব লেখেন, “একে তো আজকেই শেষ দিন, আর পোস্টটাও দিলেন সন্ধার সময়।”
“১ ঘন্টা আগে দিয়ে লাভ কি হল, আরও আফসোস বাড়লো আমিও তো আবেদন করতে পারতাম। আর আজকেই আবেদনের শেষ দিন।” লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাফিজুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি।
এ.এইচ শিহাব নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “আপনাদের গাফিলতির জন্য অনেকে আবেদন করতে পারলো না আজকেই লাস্ট ডেট।”
“ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা যাবার মতো অবস্থা। ২০২৫ এ এসেও আপনাদের এইসব বাটপারি গেলোনা।” লিখে কটুক্তি করেন মুসা আলম খান।
মিঠু মোল্লা নামের আরেকজন লেখেন, “শেষ সময়ে পোস্ট করে আফসোস বাড়িয়ে দিলেন,যুব উন্নয়ন থেকে ৩ মাসের এই কোর্সটি আমি করেছি এবং A+ পেয়েছিলাম। না দেখলে হয়তো আফসোস হতোনা। দয়া করে কোনকিছু পোস্ট করলে সময় থাকতে করবেন,শেষ দিন ২ ঘন্টা আগে পোস্ট করে জনগণের সাথে ইয়ার্কি করবেন না। ধন্যবাদ”
এ নিয়ে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক অলকা প্রভা দে বলেন, “এই প্রজেক্ট এবারই প্রথম। এটা সম্পর্কে আমার তেমন আইডিয়া নেই। কেমন ফিডব্যাক আসবে তা-ও জানিনা। এবার ফিডব্যাক দেখে পরেরবার আমরা ভালোভাবে কাজ করবো।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।