আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট এলিয়টের হর্সশু উপসাগরের উপকূলে সম্প্রতি একটি অদ্ভুত প্রাণি ভেসে আসে। ‘এলিয়েন সদৃশ’ প্রাণিটি দর্শনার্থীদের হতবাক ও কৌতূহলী করে তুলেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় মানিকনট্রোল ডটকম।
ভিকি ইভান্স নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে প্রাণিটির ছবি পোস্ট করেন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনলাইনে মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়ার বন্যা বয়ে যায়।
প্রাণিটির ছবি শেয়ার করে ভিকি ইভান্স লেখেন, ‘এর আগে এমন কিছু দেখিনি। প্রকৃতি সবসময়ই আমাদের সামনে নতুন জিনিস হাজির করে।’ পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, প্রাণিটি দেখতে স্প্যাগাটি বা চুলের বিনুনির মতো। এর মাথা বা মুখ জেল জাতীয় পদার্থ দিয়ে ভরপুর, একসঙ্গে জড়াজড়ি করে রয়েছে। স্প্যাগিটিগুলোর একগুচ্ছ ভেসে এসেছে পাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই প্রাণিটি ক্রাস্টেসিয়ান প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। নাম ‘গোস বার্নাকল’। এই প্রজাতির প্রাণিগুলো সাধারণত, ভাসমান ধ্বংসাবশেষ বা সামুদ্রিক ভেসে থাকা কাঠামোকে আঁকড়ে থাকে। এদের খুব ছোটো জোড়া পা রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া মেরিন ইকোলজিস্ট ড. জো ডাবলডে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গোস বার্নাকল অনেকক্ষণ পর্যন্ত তীরে ভেসে থাকতে পারে।’
‘গোস বার্নাকল’ নামের শিকড় রয়েছে মধ্যযুগে। তখন মনে করা হতো, পরিযায়ী পাখিরা (এক ধরনের হাঁস) ডিম পেড়ে রেখে যাচ্ছে সমুদ্রে। সেই বাচ্চা ফুটে সমুদ্রে উঠে আসছে। এই প্রজাতির সমগোত্রীয় বলা যায় ঝিনুককে। এরা গলদা চিংড়ি এবং কাঁকড়ার ঘনিষ্ঠ স্বজন। এটি যে প্রজাতির সেই ক্রাস্টেসিয়ান প্রজাতি স্প্যানিশ কিংবা পর্তুগিজ ভাষায় পারসিবেস নামেও পরিচিত। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বেশ কিছু অংশে এটিকে রান্না করে খাওয়া হয়।
জানা গেছে, নিউ ইয়র্কের এক গ্রামের রেস্টুরেন্টে খাবারের মেন্যুতে এই বার্নাকলস রয়েছে। সেখানে বার্নাকলের দাম প্রতি পাউন্ড ১২৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এটি পরিচিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামুদ্রিক খাবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।