স্পোর্টস ডেস্ক : অনেক আশা নিয়েই নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক করেছিল বিসিবি। মূলত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের চোটে পড়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শান্তর সাফল্যে অধিনায়কত্বের সুযোগ পায় তিনি। কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতে সেই শান্তকে নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। টি২০ বিশ্বকাপে হতাশ করা পারফরম্যান্সের পর বাঁহাতি এ ব্যাটারকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে।
শান্তর অধিনায়কত্ব কাঙ্ক্ষিত হলেও দেশের জন্য লাভজনক হয়নি। ফর্ম হারিয়ে শান্তও ক্ষতিগ্রস্ত। এক বছর ভালো খেলা টপঅর্ডার এ ব্যাটার এ বছর ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ফিফটি পেলেও জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি তিনি। টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের বিপক্ষে ৪১ ও ৪০ রানের অকার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন টাইগার দলপতি। তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন সমর্থকরাও।
২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপের সময়ও ‘লর্ড শান্ত’ হিসেবে টিপ্পনী করেছেন সমর্থকরা। মাঝে কিছুটা সময় পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও শান্তর সমালোচনায় আবার মুখর হয়েছেন ক্রিকেটানুরাগীরা। দেশের ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনা হচ্ছে, ২০০৯ সালের টি২০ বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতায় মোহাম্মদ আশরাফুল আর ২০২১ সালের বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় মাহমুদউল্লাহকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে শান্তকেও বাদ দেওয়া যৌক্তিক দাবি।
তবে শান্তর অধিনায়কত্বেই যেন আস্থা রাখতে চাইছে বিসিবি। শনিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্তর অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তকে ম্যান্ডেট দিয়েছি এক বছরের জন্য। এখন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। তাসকিন শুরু করেছে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে। আমার মনে হয়, সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। কিন্তু এই মুহুর্তে অধিনায়ক পরিবর্তন হবে কি না, ভবিষ্যতেও হবে কি না এই বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করতে পারব না। সবকিছু বোর্ডের সিদ্ধান্তে হয়। শান্তকে আমরা এই বছরের জন্য ম্যান্ডেট দিয়েছি। বাকিটা বোর্ডের ইচ্ছা।’
এবারের বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজন ব্যাটার ছিলেন অফ ফর্মে। এ নিয়ে দলকেও ভুগতে হয়েছে। জালাল ইউনুস অবশ্য বলছেন, পারফর্ম করেই দলে এসেছিলেন তারা। ভবিষ্যতেও পারফরম্যান্সেই জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জালাল বলেন, ‘সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কারো নাম নিয়ে বলছি না, যারা পারফর্ম করে সামনে আসবে তারাই খেলবে। এখন যারা খেলছে তারা সবাই পারফর্ম করেই এসেছে। যারা টি-টোয়েন্টি দলে গিয়েছে প্রত্যেকেই সামর্থ্য দেখিয়েই টিমে ছিল। দলের মধ্যে পারফর্ম্যান্সকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।