আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রথম বিতর্কে জো-বাইডেন খারাপ পারফর্মেন্স করেছেন। এর পরই পারফর্মেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। অকোপটে স্বীকার করেছেন নিজের অপারগতার কথা।
বাইডেন বলেছেন, ‘আমি আগের মতো বিতর্ক করতে পারি না।’
শুক্রবার আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কের পরদিন স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে নর্থ ক্যারোলাইনায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে আমি জানি, আমি তরুণ নই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যত সহজে কাজটি করতে অভ্যস্ত, সেভাবে করতে পারিনি। আমি স্বাভাবিকভাবে যেভাবে কথা বলি, সেভাবে বলতে পারিনি। আমি যেভাবে বিতর্ক করে থাকি, সেভাবে করতে পারিনি।’
৮১ বছর বয়সী বাইডেন জানান, তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে- আরো চার বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবিসির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ড কেইটিকে লিখেছেন, এবারের বিতর্কের ফরম্যাট ছিল আমেরিকানদের জন্য তুলনামূলক ভালো। তবে সঞ্চালকরা তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেননি এবং এটা ছিল জো বাইডেনের জন্য একটি খারাপ রাত।
তার অনেক জবাবই পরিষ্কার ছিল না। তাকে বয়স্ক মনে হচ্ছিল। তবে বিতর্কের দ্বিতীয় ধাপ তার জন্য কিছুটা ভালো ছিল এবং তিনি কিছুটা শক্তি পেয়েছিলেন। তবে এটা হতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের যারা মনোযোগ দিয়ে বিতর্ক দেখেছেন, তারা অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান স্টেফাইন মারফি বলেন, কিছু মূহূর্ত ছিল যেখানে বাইডেন তার বয়স তুলে ধরেছেন। তাকে বোঝাটা কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু অন্যদিকে তার মতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মন্তব্য করেছেন যা সত্যি নয় এবং এগুলো সত্যতা যাচাই করা উচিত।
তিনি বলেন, তার উদ্বেগের জায়গা হলো নির্বাচনের ফল গ্রহণ করবেন কি-না তা বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনীহা দেখিয়েছেন।
সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান রোডনি ডেভিস বলেন, ‘বিতর্কটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিষ্কার জয়।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকাজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক যে বিতর্কের ধরণটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে।’
বিবিসির ম্যাডেলাইন হ্যালপার্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর কোরউইন স্মিডট বলেন, ‘বাইডেন তার অনেক দুর্বলতা দেখিয়েছেন এবং খুব বেশি শক্তির জায়গা দেখাননি।
ভিজুয়াল, কণ্ঠ ও জবাব দেয়ার গতির কারণে তাকে অনুসরণ করাটা কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, ‘অনেক তথ্যভিত্তিক জবাব ও পয়েন্ট প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন। কিন্তু বলার ধরনের কারণে সেগুলো দ্রুত হারিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্পের পারফরমেন্স থেকেও অনেকে বেশি শক্তির জায়গা পাওয়া যায়নি এবং তিনিও কিছু দুর্বলতার প্রদর্শন করেছেন।’
সূত্র : আনাদোলু ও বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।