জুমবাংলা ডেস্ক : যাত্রীদের স্বাগত জানানো থেকে নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য। বিমানে ওঠার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শোনা যায় পাইলটের কন্ঠস্বর। কখনও সিট বেল্ট বেঁধে নেওয়া, কখনও যাত্রী নিরাপত্তা, সবমিলিয়ে একজন পাইলটই যেন আকাশপথের যাত্রাপথকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। কোনও বিপদের সম্ভাবনা থাকলেও পাইলটের ভরসাতেই কয়েক হাজার ফিট উপরে ভরসা পান যাত্রীরা। তবে বেশিরভাগ সময়েই বিমানচালকের একই ধরনের ঘোষণা শোনা যায়। আর তাই সেই এক ঘেয়েমি কাটানোর জন্যে মাঝে মাঝেই অভিনব ভঙ্গিমাতে ঘোষণা করেন পাইলটরা। সম্প্রতি তেমনই এক পাইলটের ছন্দ মিলিয়ে ঘোষণা ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ট্রেন কিংবা বাসের যাত্রার চেয়ে বিমান যাত্রা অনেকটাই আলাদা। খুব বেশি নড়াচড়া করার সুযোগ থাকে না বলে দীর্ঘক্ষণের যাত্রাপথে অনেকেরই সময় কাটতে চায় না। তাই যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য়ে ব্যাঙ্ককগামী এক উড়ানে মজার ছলে ঘোষণা করেন বিমানচালক। আর তাতেই হাসির রোল পড়ে যায় বিমানে।
ঠিক কী বলেছেন পাইলট? মোহিত তেওটিয়া নামের ওই বিমানচালক উড়ানে পান না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ বিমানসেবিকাকের কাছে যে ‘পিক-দান’ নেই। তাঁর সেই ছন্দে মিলিয়ে মজার কথা শুনে হেসে গড়াগড়ি খান যাত্রী সহ কেবিন ক্রুরা। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্ককগামী বিমানে যাঁরা বাড়িতে না বলে এসেছেন তাঁরা ধরা পড়ে যেতে পারেন বলেও রসিকতা করেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে নিজের ভিডিয়ো শেয়ার করে পাইলট মোহিত তেওটিয়া লিখেছেন, ‘আমার যাত্রীরা খুশি হলে আমিও খুশি।’
মাত্র কয়েকদিন আগেই পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি। এরই মধ্যে প্রায় দশ লাখের বেশি মানুষ ভিডিয়ো দেখেছেন। আসলে পাইলটের পেশাকে বেশ গুরুগম্ভীর পেশা বলেই মনে করা হয়। আর সেই পেশার আড়ালে যে কোনও মজার মানুষও থাকতে পারেন, সেটাই প্রমাণ করেছেন মোহিত তেওটিয়া।
এবারই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার ডিউটিতে থাকাকালীনই তাঁর কাব্যচর্চার নজির দেখা গিয়েছে। নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজ poeticpilot_-তে প্রায়ই তাঁর বিমানে মজার ঘোষণার ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভক্তও কম নেই। যেমন এক নেটিজেন ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, ” আপনি আবার কবে ব্যাঙ্কককে যাবেন বলুন, আমিও যাবো।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।