জুমবাংলা ডেস্ক : বলিউডের নবাব সাইফ আলি খানের বান্দ্রার বাড়িতে গত ১৬ জানুয়ারি রাতে আচমাই হানা দেয় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। অভিনেতার সন্তান জেহর ন্যানির ভয়ার্ত চিৎকারে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সাইফ।
আততায়ীর সঙ্গে হাতাহাতির ফলস্বরূপ ছুরিকাঘাতে জখম হন নবাবজাদা সাইফ। আর এর পরপরই সাইফকে নগরীর লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক অপারেশন করেন চিকিৎসক। পরবর্তীকালে টানা এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিতে অনেকে যেমন দুঃখ প্রকাশ করেছেন তেমনই অনেকে অভিনেতার স্ত্রী কারিনা কাপুর খানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাদের মতে, নিশ্চয়ই কারিনা সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাড়িতে এত কিছু ঘটল, কিন্তু তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি কি আদৌ বাড়িতে ছিলেন?
বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুললেন সাইফ। কারিনা সম্পর্কে অভিনেতা বলেন, সেদিন কারিনা ডিনার করার জন্য বাইরে গিয়েছিল। আমার পরদিন সকালে কিছু কাজ ছিল বলে আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমি যাইনি। ও ফিরে আসার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি এবং শুয়ে পড়ি। শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চিৎকার শুনতে পাই, কেউ একজন জেহর ঘরে ঢুকেছে ছুরি হাতে। টাকা চাইছে।
সাইফ বলেছেন- চিৎকার শুনেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি এবং লোকটিকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করি। ধস্তাধস্তি হওয়ায় আমার পিঠে, কব্জিতে এবং ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন হাতাহাতি করছিলাম তখন কারিনা জেহকে নিয়ে তৈমুরের ঘরে চলে যায়।
সাইফ আরও বলেন, কারিনা শুধু আমাকে নয়, বাচ্চা দুটোকেও সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ও ভয় পাচ্ছিল, যদি ওই লোকটা বা লোকটার অন্য কোনো সঙ্গী বাড়িতে থাকে তাহলে বাচ্চাগুলোর ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা কোনো রকমে সিঁড়ি দিয়েই নিচে নামছিলাম। কারিনা ক্যাব, রিক্সা, অটোর জন্য চিৎকার করছিল। আমার পিঠে তখন অসহ্য যন্ত্রণা করছিল।
নবাবপুত্র বলেন, বেবো বাচ্চাদুটোকে দিদির বাড়িতে রেখে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। বারবার পাগলের মতো সবাইকে ও ফোন করছিল, কিন্তু কেউ একবারও ফোন ধরেনি। আমি তখন বললাম, আমি ঠিক আছি। আমি মরবো না। সবশেষে একটা অটো ধরে আমরা চারজনেই হাসপাতাল পৌঁছে যাই।
উল্লেখ্য, অভিনেতার উপর যে হামলা করেছিল সেই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। দীর্ঘদিন বিজয় দাস নামের ভুয়া পরিচয় নিয়ে ভারতে থাকছিল ওই ব্যক্তি। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বিজয় ওরফে শরিফুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।