জুমবাংলা ডেস্ক : যেকোনো ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স দরকার হয়। সাময়িকভাবে না লাগলেও বৈধতা এবং স্থায়ী ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি অত্যাবশ্যকীয়। অনেকে ভাবেন এটি করার নিয়ম খুব জটিল। এই ভেবে করতে চান না। কিন্তু নিয়ম মেনে করলে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে এটি করা সম্ভব।
আবেদন ফরমের সঙ্গে ৩ কপি ছবি, ভাড়ার চুক্তি পত্র ও ভাড়ার রশিদ, কর পরিশোধের রশিদ সহ কর কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করতে হয়। লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম এর কপি দাখিল করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে লিগ্যাল ফি জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে লাইসেন্স সুপারভাইজার কর্তৃক সরেজমিনে তদন্ত করে সঠিক পাওয়া গেলে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে।
একক মালিকানার ক্ষেত্রে: দোকান /অফিস ভাড়ার সত্যায়িত চুক্তিপত্রের ফটোকপি। নিজের দোকান হলে ইউটিলিটি বিল এবং হালনাগাদ হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি। আবেদনকারির ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে: দোকান /অফিস ভাড়ার সত্যায়িত চুক্তিপত্রের ফটোকপি। নিজের দোকান হলে ইউটিলিটি বিল এবং হালনাগাদ হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি। ডিরেক্টরদের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের কপি। ২০০০ টাকা জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পার্টনাশিপের অঙ্গিকারনামা/ শর্তাবলি জমা দিতে হবে।
কোম্পানির ক্ষেত্রে: অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি। কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন-কর্পোরেশন। কোম্পানির মেমরেন্ডাম ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের তিন কপি ছবি। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জাতীয় পরিচয়পত্র
ফ্যাক্টরি/ কারখানার ক্ষেত্রে: পরিবেশের ছাড়পত্রের কপি। প্রস্তাবিত ফ্যাক্টরি/ কারখানার পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার বিবরণসহ নকশা/ লোকেশন ম্যাপ। প্রস্তাবিত ফ্যাক্টরি/ কারখানার পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনামা। ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর নিয়ম কানুন মেনে চলার স্বাক্ষরিত অঙ্গিকারনামা ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প।
খরচ ও সময়: সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬-এর বিধিমালা অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের এই খরচ-এর হার সমূহ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া এর সাথে আকৃতি অনুসারে সাইনবোর্ড ফি, লাইসেন্স বই-এর খরচ ও এগুলোর উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট-এর খরচ আছে। ট্রেড লাইসেন্স-এর আনুষঙ্গিক খরচাদি আবেদন ফর্মে উল্লেখিত ব্যাংক সমূহে জমা দেয়ার মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
ধারাবাহিক পদ্ধতি: সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে ব্যবসায়িক কেন্দ্রের জন্য সঠিক অঞ্চল নির্ধারণ করা। প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত সেই অঞ্চলের অফিস থেকেই ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে, যেগুলোর প্রতিটির দাম ১০ টাকা। তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ট্রেড লাইসেন্স-এর ফি ভ্যাটসহ জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
ব্যবসার ধরন অনুযায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ফর্মটির সাথে ব্যাংকে ফি জমা রশিদটি সংযুক্ত করে স্থানীয় সরকারের অফিসে জমা দিতে হবে। স্থানীয় সরকারের অধীভূক্ত আঞ্চলিক অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ব্যবসায়িক কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করবেন।
সব প্রক্রিয়া শেষে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যাবে সেই আঞ্চলিক অফিস থেকে। আবেদন ফর্ম জমা দেয়ার দিন থেকে পাঁচ অথবা সাত কর্মদিবস এর মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।