বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। শহরের যানজট, সময় সাশ্রয় এবং কম খরচে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দুই চাকার এই বাহনটি জনপ্রিয়। তরুণ থেকে শুরু করে পেশাজীবীদের কাছেও মোটরবাইকের কদর রয়েছে।। তবে মোটরসাইকেল কেনার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয় – সেটি হলো সিসি (CC)। কিন্তু এই ‘সিসি’ আসলে কী? কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
সিসি মানে কী?
‘সিসি’ বলতে বোঝায় কিউবিক সেন্টিমিটার (Cubic Centimeter)। যা মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের আয়তন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সহজ ভাষায়, একটি ইঞ্জিনের ভেতরে যে জায়গায় জ্বালানি এবং বাতাস মিশে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শক্তি তৈরি করে, সেই জায়গার মাপকেই বলা হয় সিসি।
যত বেশি সিসি, তত বেশি জ্বালানি একসঙ্গে পুড়ে শক্তি তৈরি করতে পারে। ফলে মোটরসাইকেলের গতি, শক্তি ও টর্ক বাড়ে।
সিসি অনুযায়ী মোটরসাইকেলের ধরন ও ব্যবহার
৫০-১১০ সিসি: কম গতির, জ্বালানি সাশ্রয়ী। ছাত্র, অফিসগামী, গ্রামাঞ্চলের জন্য উপযোগী।
১২৫-১৫০ সিসি: মাঝারি গতি ও পাওয়ার। শহরের চলাচল, রাইড-শেয়ারের জন্য উপযোগী।
১৬০-২০০ সিসি: হাই পারফরম্যান্স, স্পোর্টস বাইক। তরুণ ও লং ট্যুরের জন্য উপযোগী।
২০০ সিসি+: লং ড্রাইভ, অ্যাডভেঞ্চার, রেসিং বাইক। শখের বাইকার, অ্যাডভেঞ্চারারদের জন্য উপযোগী।
বাংলাদেশে সিসি সীমা
বাংলাদেশে একসময় ১৫৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানি ও ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার লিমিট বাড়িয়ে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে, যা বাইকপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
সিসি বাড়লে সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা:
বেশি গতি ও তীব্র অ্যাকসেলারেশন
দীর্ঘ ভ্রমণে আরামদায়ক
উন্নত ব্রেক ও সাসপেনশন সিস্টেম
অসুবিধা:
জ্বালানি খরচ বেশি
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল
লাইসেন্স ও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শর্ত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।