বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : রিফার্বিশড স্মার্টফোন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। কেউ কেউ মনে করেন রিফার্বিশড মানেই মানহীন। আর সেই কারণেই স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো এই ধরনের ফোন সস্তায় বিক্রি করে দেয়। এই ধারণা সঠিক নয়।
রিফার্বিশড স্মার্টফোনের জন্য আসলে ভিন্ন একটা প্রক্রিয়া থাকে। যা সংস্থাগুলি অনুসরণ করে থাকে। আর সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই সংস্থা এই ধরনের স্মার্টফোন বিক্রি করে।
কোম্পানিগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে রিফার্বিশড স্মার্টফোন তৈরি করে-
অ্যাসেম্বল: প্রথমে গ্রাহকদের রিটার্ন করে দেওয়া, পুরনো অথবা ত্রুটিপূর্ণ স্মার্টফোন সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে থাকতে পারে ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়া ফোন, পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত ফোনও। এছাড়া খারাপ হয়ে যাওয়া ফোন তো আছেই!
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন আনলক না করলে অটো রিস্টার্ট হবে আপনার ফোন
পরীক্ষা-নিরীক্ষা: প্রত্যেকটা ফোনই খুঁটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আসলে ফোনটি ঠিক করা যাবে কি না, সেটাই বুঝে নেওয়া হয়। টেকনিশিয়ানরা ড্যামেজ বা ক্ষতির মাত্রা শনাক্ত করেন। সেই সঙ্গে মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেখে নেন।
মেরামত: টেকনিশিয়ানরা ব্রোকেন অথবা ড্যামেজ হয়ে যাওয়া অংশটির জায়গায় নতুন ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) লাগানো হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল স্ক্রিন, ব্যাটারি, চিপসেট, ক্যামেরা এবং অন্যান্য কম্পোনেন্ট।
ক্লিনিং এবং টেস্টিং: এরপর ফোনটিকে ভালো করে সাফসুতোর এবং ধুলা-ময়লা মুক্ত করা হয়। ফোনটি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না, সেটা বারবার খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
গ্রেডিং: মেরামত করার পর ফোনের অবস্থার ওপর নির্ভর করে এর গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। এ থেকে সি পর্যন্ত গ্রেড দেওয়া হয়। গ্রেডিং এ মানে হল সেরা ফোন। আর গ্রেড সি-এর অর্থ হল, সবথেকে খারাপ।
প্যাকেজিং এবং সেলস: নতুন মোড়ক বা প্যাকেজের মাধ্যমে রিফার্বিশড ফোনগুলোকে প্যাকিং করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় চার্জার এবং প্রয়োজনীয় অ্যাকসেসরিও। সাধারণত আসল দামের তুলনায় কম দামে বিক্রি হয় এই ফোনগুলো।
রিফার্বিশড স্মার্টফোনে কি ত্রুটি বা ডিফেক্ট থাকে?
হ্যা, কখনও কখনও রিফার্বিশড স্মার্টফোনে ত্রুটি থাকতে পারে। যদিও বিশ্বস্ত সেলারের থেকে রিফার্বিশড স্মার্টফোন কিনলে সাধারণত গ্যারান্টি পাওয়া যায়। যা ওই ত্রুটির ক্ষেত্রে কভারেজ দেবে।
কিছু বিষয় মাথায় রাখা আবশ্যক
১. শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সেলারদের থেকে রিফার্বিশড স্মার্টফোন কেনা উচিত।
২. ফোনে ভালো গ্যারান্টি আছে কি না, দেখে নিতে হবে।
৩. ফোন নিয়ে সমস্যা হলে তা ফেরত দেওয়া যায়। তাই রিটার্ন পলিসি দেখতে হবে।
৪. হাই গ্রেডবিশিষ্ট ফোন বেছে নিতে হবে।
৫. কেনার আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে ফোন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।