লাইফস্টাইল ডেস্ক : কাঁচা মরিচে আছে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ডায়েটারি ফাইবার ইত্যাদি। এছাড়াও কাঁচা মরিচ খেলে আরও মিলবে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬। আর এই সবগুলো উপাদানই আমাদের শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে।
নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়, মেলে নানা উপকার। জেনে নিন কাঁচা মরিচের উপকারিতা।
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: কাঁচা মরিচে ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. হজমে সহায়ক: কাঁচা মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীতে পিত্তরসের ক্ষরণ বাড়ায়, ফলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
৩. ব্যথা কমাতে সাহায্য: ক্যাপসাইসিন উপাদানটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে, যেমন: আথ্রাইটিস, মাইগ্রেন বা অন্য কোনো ব্যথার ক্ষেত্রে এটি উপকারী হতে পারে।
৪. ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা: কাঁচা মরিচ শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে ক্যালোরি দ্রুত পুড়ে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা মরিচের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-
১. পেটের সমস্যা: অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়াতে পারে।
২. ত্বকের সমস্যা: সরাসরি কাঁচা মরিচ হাতে বা ত্বকে লাগলে জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত ঘাম: মরিচের ঝাল গরমভাব সৃষ্টি করে, যা শরীরে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে এবং পানিশূন্যতার সম্ভাবনা বাড়ায়।
৪. হাত ও মুখে জ্বালাভাব: অনেক সময় বেশি কাঁচা মরিচ খেলে মুখ, ঠোঁট, গলা এবং পেটে জ্বালাভাব হতে পারে।
কাঁচা মরিচ পরিমিত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত খেলে তা বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।