লাইফস্টাইল ডেস্ক : এখন আমের সময়। বাহারি নাম ও স্বাদের আম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সেসব আমের স্বাদ না নিলে কি হয়! আম-দুধ দিয়ে ভাত খাওয়া থেকে শুরু করে আমের স্মুদি- পাকা আম আমরা অনেকভাবেই খেতে পছন্দ করি। এমনকী অনেকে তিনবেলা খাবারের পরপরই আমও খেয়ে থাকেন। কিন্তু রাতের বেলা আম খাওয়া কি ঠিক? আম সুস্বাদু ও উপকারী ফল, কিন্তু এটি রাতে খেলে তা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রাতে আম খেলে কী হয়-
বাড়তি ক্যালোরি
মাঝারে আকারের একটি আমে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি থাকে। এখন আপনি যদি রাতে আম খান তবে আপনার ক্যালোরির গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে কয়েক গুণ । যে কারণে বিশেষজ্ঞরা রাতে আম না খেয়ে দিনে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ রাতে খাওয়ার পরে সাধারণত ঘুমাতে যাওয়া হয় এবং তেমন কোনো নড়াচড়া বা কাজ হয় না। তাই বাড়তি ক্যালোরি খরচ হয় না।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
রাতে আম খেলে বৃদ্ধি পেতে পারে আপনার শরীরের তাপমাত্রা। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে এ ধরনের অভ্যাসের কারণে ব্রণের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই আপনার যদি আগে থেকেই ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
সুগার লেভেল বাড়তে পারে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুগার লেভেল বা রক্তে শর্করার মাত্রার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের আম খাওয়ার পরিমাপের দিকে খেয়াল করতে হবে। বিশে করে রাতের বেলা আম পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ আম খেলে তা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই রাতে এটি এড়িয়ে চলবেন।
ওজন বৃদ্ধির ভয়
দিনের বেলা আম খেলে তেমন সমস্যা নেই। কারণ দিনে অনেক রকম কাজে আমরা ব্যস্ত থাকি। কিন্তু রাতে আম খেলে বাড়তে পারে ওজন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাতের বেলা তেমন কোনো কাজ থাকে না কিংবা ঘুমিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে আমের বাড়তি ক্যালোরি শরীরেই জমা হয়। এর ফলে বাড়তে পারে ওজন। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এদিকে খেয়াল রাখবেন।
বদহজম হতে পারে
আম সুস্বাদু হলেও রাতের বেলা এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ রাতে আম খেলে তা বদ হজমের কারণ হতে পারে। অনেক সময় খাওয়ার পরপরই আম খেলে তাও বদ হজমের কারণ হতে পারে। তাই আম খেতে চাইলে দুপুরের দিকে খান। তবে মূল খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে আম খেলে ভালো হয়। এতে হজম ভালো হবে এবং বদ হজমের ভয় থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।