আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ফয়েজ হামিদকে গত সোমবার গ্রেফতার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
অনেকে মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন ফয়েজ হামিদ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবসরে যাওয়ার আগে ইমরানের শাসনামলে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন তিনি।
সাবেক এই শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি হাউজিং সোসাইটির মালিকের কাছ থেকে জমি দখল এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছে সেনাবাহিনী।
ফয়েজ হামিদকে সেনাবাহিনী হেফাজতে নেওয়ার পর নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন ইমরান খান। দেশটির ৭৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক আইএসআই প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে বিব্রত ইমরান খানও। কারণ তার শাসনামলেই ফয়েজ হামিদ আইএসআই প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলবন্দি পিটিআই নেতা বলেন, ‘জেনারেল (অব.) ফয়েজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়। যদি সামরিক বাহিনী জেনারেল ফয়েজের জবাবদিহি চায়, তাহলে তাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং তা করা উচিত’।
একইসঙ্গে সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহির প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান। বৃহস্পতিবার আরও তিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সামরিক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন ব্রিগেডিয়ার এবং একজন কর্ণেল পদধারী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাবাহিনী অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির প্রক্রিয়া শুরু করেছে এটা ভালো। জবাবদিহির প্রক্রিয়া বাহিনীর সব সেক্টরে হওয়া উচিত’।
পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ইমরান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হলেন ফয়েজ । ইমরান খান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, তিনিও শক্তি হারান। সরকার পতনের আন্দোলনে ইমরানকে গোপনে সহযোগিতার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন ফয়েজের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করছেন ইমরান খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।